হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

অ্যাম্বুলেন্সে আগুন: নিহত ৭ জনের পরিচয় মিলেছে

 




ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স ফ্লাইওভারের রেলিংয়ে ধাক্কা লেগে আগুন ধরে যায়। এতে পুড়ে ঘটনাস্থলেই অ্যাম্বুলেন্সের সব যাত্রী মারা যান। তবে এ ঘটনায় চালক প্রাণে বেঁচে গেছেন।


আজ শনিবার বেলা ১১টা দিকে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মালিগ্রাম ফ্লাইওভারের উপর এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সময় ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি বরিশালের দিকে যাচ্ছিল।



এ দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানাতে পারছিল না দায়িত্বশীল কোনো পক্ষ। পরে আজ দুপুরে নিহতদের পরিচয় মিলেছে।


দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার মাঠ কুমড়া গ্রামের তাসলিমা বেগম (৫০), নিহত তসলিমা বেগমের দুই মেয়ে কমলা বেগম (৩০) ও বিউটি বেগম (২৬), নিহত তসলিমার নাতি আরিফ (১২), হাসিব (১০) ও হাফসা (০১) (তারা নিহত কমলা বেগমের দুই ছেলে ও এক মেয়ে), নিহত তসলিমার আরেক নাতি মেহেদী (১২) (নিহত বিউটি বেগমের ছেলে)।


পুলিশ জানায়, কমলা বেগম ঢাকার চকবাজার এলাকায় বসবাস করতেন। তার মা অসুস্থ তসলিমা বেগমকে ডাক্তার দেখিয়ে মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন কমলা। ঢাকার চকবাজারের বাসা থেকে সকালে রওনা দেন তারা। গাড়িতে কমলা বেগম ও তার দুই ছেলে আরিফ, হাসিব ও কোলের মেয়ে হাফসা ছিল। এছাড়া মা তসলিমা বেগম, বোন বিউটি বেগম ও বিউটির ছেলে মেহেদী ছিল। নিহতরা একই পরিবারের সাতজন।


তিনি বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে এসে ফ্লাইওভারের রেলিং এর সঙ্গে গাড়িটির ধাক্কা লেগে আগুন ধরে যায়। পরে গাড়িটিতে গ্যাস ছড়িয়ে পড়লে আগুনও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে সকল যাত্রী পুড়ে মারা যান।



মন্তব্যসমূহ