হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যার কথা স্বীকার করল ইসরাইলি সেনাবাহিনী

 




কোনো কারণ ছাড়াই একজন নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ইসরাইলি সেনাবাহিনী।


গত সপ্তাহে ইসরাইলি সৈন্যদের গুলিতে একজন মধ্যবয়সী ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কোনো হুমকি বা কোনো বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি না করায় তাকে হত্যা করা উচিত হয়নি বলে সোমবার জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।


গত ১৫ জানুয়ারি অধিকৃত পশ্চিম তীরের সিলওয়াদের কাছে রামনের বাসিন্দা আহমেদ কাহলাকে (৪৬) সামরিক চেকপয়েন্টে খুব কাছ থেকে ঘাড়ে গুলি করা হয়।


এর আগে প্রাথমিকভাবে ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছিল যে কাহলাকে গুলি করা হয়েছিল কারণ তিনি হাতে ছুরি নিয়ে তার গাড়ি থেকে নেমে আসছিলেন এবং তাদের ছুরিকাঘাতের উদ্দেশ্যে সৈন্যদের দিকে দৌঁড়াচ্ছিলেন।


ঘটনার সময় কাহলের সাথে ছিলেন তার ২০ বছর বয়সী ছেলে কুসাই। তিনি বলেন, তাদের গাড়িটি চেকপয়েন্টে থামানো হয়েছিল এবং একজন সেনা সদস্য একটি স্টান গ্রেনেড ছুঁড়ে মারে। যেটি তাদের গাড়ির ছাদে আঘাত করে। তখন কাহলা জিজ্ঞাসা করেন, কেন তাদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে? এ সময় একজন অফিসার তার ওপর পিপার স্প্রে ব্যবহার করেন। পরে এক সৈন্য তাকে গাড়ি থেকে টেনে বের বের করে গুলি করেন।


ইসরাইলি সেনাবাহিনীর একটি তদন্তে দেখা গেছে যে কাহলার ছুরি দিয়ে হামলা চালানোর কোনো উদ্দেশ্য ছিল না এবং ‘মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এই ঘটনার সমাপ্তি হওয়া উচিত হয়নি।’


নিহতের ভাই জায়েদ (৪৫) আরব নিউজকে বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেব।’


কাহালের পরিবার ইসরাইলের আদালতে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করবে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও যাবে।


জায়েদ বলেন, ‘আমরা জানি যে তাদের বিচার হলে আমাদের ভাই আহমেদকে জীবিত ফিরে পাবো না। কিন্তু আমরা চাই তারা অপরাধের শাস্তি পাক।’


তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের ঠাণ্ডা মাথায় এবং কোনো কারণ ছাড়াই ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা থেকে বিরত রাখতে চাই।’


সূত্র: আরব নিউজ

মন্তব্যসমূহ