হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

হিজাব খুলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট, ইরানি অভিনেত্রী গ্রেপ্তার

 




হিজাব ছাড়া জনসম্মুখে হাজির হওয়ার পরের দিনই গ্রেপ্তার হলেন ইরানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হেনগামেহ গাজিয়ানি। আজ রোববার ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।


জানা গেছে, গতকাল রোববার হিজাব খুলে ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট দিয়েছিলেন ৫২ বছর বয়সী অভিনেত্রী হেনগামেহ গাজিয়ানি। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘হয়তো এটা আমার শেষ পোস্ট। আমার সঙ্গে এ মুহূর্ত থেকে যাই ঘটুক, জেনে রাখুন আমি সবসময় ইরানের জনগণের সঙ্গে থাকব।’


হেনগামেহ গাজিয়ানি ইরানের চলমান আন্দোলনে দমন-পীড়ন চালানোর সমালোচনা করতেন। তাকে দাঙ্গা উস্কে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগে অপর এক পোস্টে এই অভিনেত্রী ইরানের সরকারকে শিশু হত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত হয়েছিলেন।


গত ১৩ সেপ্টেম্বর কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনিকে গ্রেপ্তার করে তেহরানের নৈতিকতা পুলিশ। ইরানের পশ্চিমাঞ্চল থেকে তেহরানে ঘুরতে আসা মাহসাকে একটি মেট্রো স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সঠিকভাবে হিজাব পরেননি।


এরপর পুলিশ হেফাজতে থাকার সময়ে মাহসা অসুস্থ হয়ে পড়েন ও কোমায় চলে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হলে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য এর আগে থেকেই ইরানের সিনেমা ব্যক্তিত্বরা চাপের মধ্যে ছিলেন।


মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানে এ পর্যন্ত ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


ইরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পরই নারীদের জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়। দেশটির ধর্মীয় শাসকদের কাছে নারীদের জন্য এটি ‘অতিক্রম-অযোগ্য সীমারেখা’। বাধ্যতামূলক এই পোশাকবিধি মুসলিম নারীসহ ইরানের সব জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মের নারীদের জন্য প্রযোজ্য। এই পোশাকবিধি অনুযায়ী নারীদের জনসমক্ষে চুল সম্পূর্ণভাবে ঢেকে রাখতে হয় এবং লম্বা, ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হয়।


হিজাব আইন আরও কঠোরভাবে প্রয়োগের জন্য চলতি বছরের ৫ জুলাই ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি একটি আদেশ জারি করেন। এর মাধ্যমে ‘সঠিক নিয়মে’ পোশাকবিধি অনুসরণ না করা নারীদের সরকারি সব অফিস, ব্যাংক এবং গণপরিবহনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ