হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

স্বাগতিক কাতারকে হারিয়ে ইকুয়েডরের শুভসূচনা


দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ এর পর্দা উঠল। যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে ইকুয়েডর। দুটি গোলই করেন এনের ভ্যালেন্সিয়া।

কাতার বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়লেন এনের ভ্যালেন্সিয়া। আসরের প্রথম গোলটি আসলো ইকুয়েডরের এই স্ট্রাইকারের পা থেকে। পরে তিনি জোড়া গোল পূর্ণ করেন।


আজ রোববার আল বায়াত স্টেডিয়ামে নজর কাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর খেলতে নামে ‘এ’ গ্রুপের দুদল কাতার ও ইকুয়েডর। যেখানে খেলার ১৬তম মিনিটে স্পট কিক থেকে দলকে লিড এনে দেন ভ্যালেন্সিয়া। এক মিনিট আগে আক্রমণে আসা এক ইকুয়েডরের ফুটবলারকে প্রতিহত করেন কাতারের গোলরক্ষক আল শায়েব।

পরে রেফারি আল শায়েবকে হলুদ কার্ড দেখান ও ইকুয়েডরের দিকে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। সেখান থেকেই ১-০ গোলে এগিয়ে ইকুয়েডরকে এগিয়ে দেন ভ্যালেন্সিয়। এই ফরোয়ার্ড অবশ্য খেলার শুরুতেই একটি গোল করেছিলেন। তবে রেফারি ভিএআর দেখে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল করেন।



ম্যাচের ৩১তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ইকুয়েডর। দলীয় আক্রমণ থেকে আনহেলো প্রিসিয়াদো গোলমুখে ক্রস করেন। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা ভ্যালেন্সিয়া হেড থেকে নিজের জোড় গোল পূর্ণ করতে ভুল করেননি।

প্রথমার্ধে একেবারে শেষ মুহূর্তে দারুণ একটি সুযোগ পায় কাতার। তবে গোলবারের কাছ থেকে গোল বঞ্চিত হন আলমোয়েজ।

বিরতির পরও আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে ইকুয়েডর। কাতারও একেবারে পিছিয়ে ছিল না। তবে আর কোনো গোল না হলে শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো স্বাগতিক দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হারের তেতো স্বাদ পেল কাতার।

মন্তব্যসমূহ