শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

জাপানে আঘাত হেনেছে মহাপ্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় নানমাদোল

 




জাপানে আঘাত হেনেছে মহাপ্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় নানমাদোল। স্থানীয় সময় রোববার রাতে এ সুপার তাইফুন আঘাত হানে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। 


জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি কাগোশিমা শহরের কাছে এসে পৌঁছায়।


ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রতি ঘণ্টায় ২৩৪ কিলোমিটার (১৪৬ মাইল) বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছিল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে  ইতোমধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম কিউশু অঞ্চলের কিছু অংশে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ৫০০ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। 


ভয়ঙ্কর এ প্রলয় থেকে বাঁচাতে জাপানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ দেশটির কাগশিমা, কুমামতো, মিয়াজাকি ও দক্ষিণ কিয়োশো থেকে ২০ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। 


জাপানের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর এ ঘূর্ণিঝড়কে 'ধ্বংসাত্মক' হিসেবে উল্লেখ করে দক্ষিণ দিকে থাকা উপকূলীয় লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে৷


স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা নাগাদ কাগোশিমা অঞ্চলের প্রায় ২ লাখ বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন ছিল।


ঝড় অতিক্রম না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন, বিমান এবং ফেরি চালানো বাতিল করা হয়েছে।  এমনকি যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যেসব দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে সেগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

মন্তব্যসমূহ