জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

জাপানে আঘাত হেনেছে মহাপ্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় নানমাদোল

 




জাপানে আঘাত হেনেছে মহাপ্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় নানমাদোল। স্থানীয় সময় রোববার রাতে এ সুপার তাইফুন আঘাত হানে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। 


জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি কাগোশিমা শহরের কাছে এসে পৌঁছায়।


ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রতি ঘণ্টায় ২৩৪ কিলোমিটার (১৪৬ মাইল) বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছিল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে  ইতোমধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম কিউশু অঞ্চলের কিছু অংশে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ৫০০ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। 


ভয়ঙ্কর এ প্রলয় থেকে বাঁচাতে জাপানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ দেশটির কাগশিমা, কুমামতো, মিয়াজাকি ও দক্ষিণ কিয়োশো থেকে ২০ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। 


জাপানের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর এ ঘূর্ণিঝড়কে 'ধ্বংসাত্মক' হিসেবে উল্লেখ করে দক্ষিণ দিকে থাকা উপকূলীয় লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে৷


স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা নাগাদ কাগোশিমা অঞ্চলের প্রায় ২ লাখ বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন ছিল।


ঝড় অতিক্রম না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন, বিমান এবং ফেরি চালানো বাতিল করা হয়েছে।  এমনকি যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যেসব দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে সেগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

মন্তব্যসমূহ