ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার জন্য ঐক্যবদ্ধ কমান্ড প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক শাখার নেতা ইসমাইল হানিয়া।
ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে পূর্ব জেরুজালেমের পুরনো শহরে আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহর মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার এই আহ্বান জানান তিনি।
ইসমাইল হানিয়া বলেন, ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলন এখন নতুন অধ্যায়ে পৌঁছেছে যা ‘তীক্ষ্ণ ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত’ প্রত্যাশা করে। ঐক্যবদ্ধ কমান্ড প্রতিষ্ঠা করা হলে তা বর্ণবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত হবে।
সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহর পাশবিক হত্যাকাণ্ড ঐক্যবদ্ধ কমান্ড প্রতিষ্ঠাকে অনিবার্য করে তুলেছে বলেও মন্তব্য করেন এ হামাস নেতা।
এছাড়া তেল আবিবের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতার অবসান এবং কথিত অসলো শান্তিচুক্তি বাতিলের জন্য রামাল্লাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান ইসমাইল হানিয়া।
গত বুধবার পশ্চিমতীরের জেনিন শহরে ইসরাইলি সেনারা গুলি করে শিরিন হত্যা করেন। গত বৃহস্পতিবার পশ্চিমতীরের রামাল্লা শহরে তাকে শেষ শ্রদ্ধা ও শোক জানাতে হাজারো মানুষ ভিড় করেন।
জেরুজালেমের পুরোনো শহরের মাউন্ট জিওন প্রোটেস্ট্যান্ট সিমেট্রিতে শুক্রবার তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শেষকৃত্যের আগে তার কফিন বহনকারী ব্যক্তিরা ‘ফিলিস্তিন’, ‘ফিলিস্তিন’ বলে স্লোগান দেন।
সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহর শেষকৃত্যের আগে শুক্রবার তার কফিন বহনকারী ব্যক্তিদের পিটিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এ ঘটনায় চরম বিরক্ত জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে বলেছেন, শুক্রবার জেরুজালেমের সেইন্ট জোসেফ হাসপাতালের মর্গ থেকে শিরিনের লাশ নিয়ে নিয়ে যাওয়ার সয় ইসরাইলি বাহিনী হঠাৎ করে হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনিদের ওপর।
প্রখ্যাত এ সাংবাদিকের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে এ ধরনের বর্বর হামলার ঘটনায় খুবই বিরক্ত হয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব।
দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০০৮ সাল থেকে অবৈধ ইসরাইলের বিরুদ্ধে তিনটি লড়াই করেছে হামাস।
মন্তব্যসমূহ