হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

চীনের গহ্বরে প্রাচীন অরণ্য, মিলতে পারে নতুন প্রজাতির প্রাণীর খোঁজ

 




চীনে বিশাল গহ্বরের (সিঙ্কহোল) নিচে প্রাচীন এক অরণ্যের খোঁজ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত হওয়া এই জঙ্গলে ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা গাছ রয়েছে বলেও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। শিনহুয়া নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে লাইভ সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।


‘সিঙ্কহোল’ হল মাটির নিচের গহ্বর, যা মাটির নিচে হওয়া ধসের কারণে তৈরি হয়। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই জঙ্গলে অনেক এমন উদ্ভিদ এবং প্রাণীর খোঁজ মিলতে পারে, যারা একেবারে নতুন প্রজাতির। দক্ষিণ চীনের গুয়াংজি অঞ্চলে এক গুহার খোঁজ দিয়েছিলেন একটি অনুসন্ধিৎসু দল। তারাই প্রথম এই গহ্বর এবং জঙ্গলটির খোঁজ পান।


এরপরই জঙ্গলটির বিষয়ে বিজ্ঞানীদের জানায় ওই দল। লেই কাউন্টির ৩০টি সিঙ্কহোলের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। এই গহ্বরটি লম্বায় ৩০৬ মিটার এবং ১৫০ মিটার চওড়া। গভীরতা ১৯২ মিটার।



চীনের ইনস্টিটিউট অব কার্স্ট জিওলজির ইঞ্জিনিয়ার ঝাং ইউয়ানহাই স্থানীয় সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, এই গহ্বরের দেওয়ালে তিনটি গুহার খোঁজও মিলেছে। একদম নিচে রয়েছে জঙ্গল।


আনন্দবাজার তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই জঙ্গলে কী আছে, তা দেখার জন্য বিজ্ঞানীরা কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালানোর পর এই গহ্বরের একেবারে তলদেশে পৌঁছান। বিজ্ঞানী দলের নেতৃত্বে ছিলেন চেন লিক্সিন। তিনি জানান, গাছের পাশাপাশি এই জঙ্গলে তার কাঁধ পর্যন্ত লম্বা বেশ কিছু উদ্ভিদের খোঁজও পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘যদি এই গহ্বরের গুহাগুলিতে নতুন প্রজাতির প্রাণীর সন্ধান পাওয়া যায়, তা হলেও আমি অবাক হব না।’


গহ্বরের ভেতরের দেওয়ালের পাথর, ভূগর্ভস্থ জলে ক্ষয়ে এক অদ্ভুত নকশার সৃষ্টি করেছে বলেও লিক্সিন জানিয়েছেন। বিজ্ঞানীদের মতে, এই গহ্বরটি বিরল। কারণ এটি সাধারণ গহ্বরের তুলনায় বেশি গভীর। তবে এই গহ্বরের মুখ দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারায় এই জঙ্গলে গাছগুলি বেড়ে উঠেছে বলে তাদের ধারণা।

মন্তব্যসমূহ