শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

চীনের গহ্বরে প্রাচীন অরণ্য, মিলতে পারে নতুন প্রজাতির প্রাণীর খোঁজ

 




চীনে বিশাল গহ্বরের (সিঙ্কহোল) নিচে প্রাচীন এক অরণ্যের খোঁজ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত হওয়া এই জঙ্গলে ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা গাছ রয়েছে বলেও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। শিনহুয়া নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে লাইভ সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।


‘সিঙ্কহোল’ হল মাটির নিচের গহ্বর, যা মাটির নিচে হওয়া ধসের কারণে তৈরি হয়। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই জঙ্গলে অনেক এমন উদ্ভিদ এবং প্রাণীর খোঁজ মিলতে পারে, যারা একেবারে নতুন প্রজাতির। দক্ষিণ চীনের গুয়াংজি অঞ্চলে এক গুহার খোঁজ দিয়েছিলেন একটি অনুসন্ধিৎসু দল। তারাই প্রথম এই গহ্বর এবং জঙ্গলটির খোঁজ পান।


এরপরই জঙ্গলটির বিষয়ে বিজ্ঞানীদের জানায় ওই দল। লেই কাউন্টির ৩০টি সিঙ্কহোলের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। এই গহ্বরটি লম্বায় ৩০৬ মিটার এবং ১৫০ মিটার চওড়া। গভীরতা ১৯২ মিটার।



চীনের ইনস্টিটিউট অব কার্স্ট জিওলজির ইঞ্জিনিয়ার ঝাং ইউয়ানহাই স্থানীয় সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, এই গহ্বরের দেওয়ালে তিনটি গুহার খোঁজও মিলেছে। একদম নিচে রয়েছে জঙ্গল।


আনন্দবাজার তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই জঙ্গলে কী আছে, তা দেখার জন্য বিজ্ঞানীরা কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালানোর পর এই গহ্বরের একেবারে তলদেশে পৌঁছান। বিজ্ঞানী দলের নেতৃত্বে ছিলেন চেন লিক্সিন। তিনি জানান, গাছের পাশাপাশি এই জঙ্গলে তার কাঁধ পর্যন্ত লম্বা বেশ কিছু উদ্ভিদের খোঁজও পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘যদি এই গহ্বরের গুহাগুলিতে নতুন প্রজাতির প্রাণীর সন্ধান পাওয়া যায়, তা হলেও আমি অবাক হব না।’


গহ্বরের ভেতরের দেওয়ালের পাথর, ভূগর্ভস্থ জলে ক্ষয়ে এক অদ্ভুত নকশার সৃষ্টি করেছে বলেও লিক্সিন জানিয়েছেন। বিজ্ঞানীদের মতে, এই গহ্বরটি বিরল। কারণ এটি সাধারণ গহ্বরের তুলনায় বেশি গভীর। তবে এই গহ্বরের মুখ দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারায় এই জঙ্গলে গাছগুলি বেড়ে উঠেছে বলে তাদের ধারণা।

মন্তব্যসমূহ