জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

চীনের গহ্বরে প্রাচীন অরণ্য, মিলতে পারে নতুন প্রজাতির প্রাণীর খোঁজ

 




চীনে বিশাল গহ্বরের (সিঙ্কহোল) নিচে প্রাচীন এক অরণ্যের খোঁজ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত হওয়া এই জঙ্গলে ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা গাছ রয়েছে বলেও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। শিনহুয়া নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে লাইভ সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।


‘সিঙ্কহোল’ হল মাটির নিচের গহ্বর, যা মাটির নিচে হওয়া ধসের কারণে তৈরি হয়। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই জঙ্গলে অনেক এমন উদ্ভিদ এবং প্রাণীর খোঁজ মিলতে পারে, যারা একেবারে নতুন প্রজাতির। দক্ষিণ চীনের গুয়াংজি অঞ্চলে এক গুহার খোঁজ দিয়েছিলেন একটি অনুসন্ধিৎসু দল। তারাই প্রথম এই গহ্বর এবং জঙ্গলটির খোঁজ পান।


এরপরই জঙ্গলটির বিষয়ে বিজ্ঞানীদের জানায় ওই দল। লেই কাউন্টির ৩০টি সিঙ্কহোলের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। এই গহ্বরটি লম্বায় ৩০৬ মিটার এবং ১৫০ মিটার চওড়া। গভীরতা ১৯২ মিটার।



চীনের ইনস্টিটিউট অব কার্স্ট জিওলজির ইঞ্জিনিয়ার ঝাং ইউয়ানহাই স্থানীয় সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, এই গহ্বরের দেওয়ালে তিনটি গুহার খোঁজও মিলেছে। একদম নিচে রয়েছে জঙ্গল।


আনন্দবাজার তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই জঙ্গলে কী আছে, তা দেখার জন্য বিজ্ঞানীরা কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালানোর পর এই গহ্বরের একেবারে তলদেশে পৌঁছান। বিজ্ঞানী দলের নেতৃত্বে ছিলেন চেন লিক্সিন। তিনি জানান, গাছের পাশাপাশি এই জঙ্গলে তার কাঁধ পর্যন্ত লম্বা বেশ কিছু উদ্ভিদের খোঁজও পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘যদি এই গহ্বরের গুহাগুলিতে নতুন প্রজাতির প্রাণীর সন্ধান পাওয়া যায়, তা হলেও আমি অবাক হব না।’


গহ্বরের ভেতরের দেওয়ালের পাথর, ভূগর্ভস্থ জলে ক্ষয়ে এক অদ্ভুত নকশার সৃষ্টি করেছে বলেও লিক্সিন জানিয়েছেন। বিজ্ঞানীদের মতে, এই গহ্বরটি বিরল। কারণ এটি সাধারণ গহ্বরের তুলনায় বেশি গভীর। তবে এই গহ্বরের মুখ দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারায় এই জঙ্গলে গাছগুলি বেড়ে উঠেছে বলে তাদের ধারণা।

মন্তব্যসমূহ