জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

ইরাক আক্রমণকে ‘নিষ্ঠুর’ বললেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ!

 




সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেছেন, ইরাকে ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানটি ‘নিষ্ঠুর’ ও ‘অযৌক্তিক’ ছিল। তবে এ কথা যে তিনি মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন সেটি পরে স্বীকারও করেন। নিজের বক্তব্য সংশোধন করে জানান—তিনি আসলে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কথা বোঝাতে চেয়েছেন। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।


যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে বুধবার এক অনুষ্ঠানে রাশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার সমালোচনা করতে গিয়ে বুশ এই বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন।


বুশ ওই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘রাশিয়ায় ভারসাম্যের অনুপস্থিতি এবং ইরাকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও নৃশংস হামলা শুরু করার একক ব্যক্তি-সিদ্ধান্তের ফলাফল হলো (ইউক্রেনে এ যুদ্ধ)।’ পরক্ষণেই বুশ নিজের ভুল বুঝতে পেরে মাথা নেড়ে বলেন, ‘আমি ইউক্রেনের কথা বুঝিয়েছি।’


বুশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কৌতুকের স্বরে নিজের ভুলের জন্য বয়সকে দোষারোপ করলে উপস্থিত দর্শকের মধ্যে হাসির রোল পড়ে যায়।


ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে—এমন দাবি করে ২০০৩ সালে সে দেশে সামরিক অভিযান চালায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন জর্জ বুশ।


জর্জ বুশের মন্তব্যটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে।

মন্তব্যসমূহ