জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

পুতিনের প্রেমিকা ও সাবেক স্ত্রীর ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা

 




ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কারণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথিত প্রেমিকা ও সাবেক স্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।


বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পুতিনের স্ত্রী লুদমিলা ওচেরেতনায়া ও কথিত প্রেমিকা সাবেক জিমন্যাস্ট এলিনা কাভায়েভা যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন না। একই সঙ্গে দেশটিতে তাদের সম্পদও জব্দ হবে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার হাজারের বেশি মানুষের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।


যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এ নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেছেন, পুতিনের ঘনিষ্ঠজনদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করছে যুক্তরাজ্য। তিনি বলেন, ‘পুতিনের বিলাসবহুল জীবনযাপনে ছায়া হয়ে থাকা নেটওয়ার্ককে উন্মোচিত ও লক্ষ্যবস্তু করেছে’ যুক্তরাজ্য। ইউক্রেন জয়ী না হওয়া পর্যন্ত পুতিনের আগ্রাসনে সহায়তা ও প্ররোচনা দেওয়া সবার ওপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে। ইউক্রেন থেকে সব রুশ সেনা চলে গেলেই এসব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।


যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, পুতিনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর লুদমিলা ওচেরেতনায়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অগ্রাধিকারভিত্তিতে ব্যবসার সঙ্গে সঙ্গে উল্লেখযোগ্য সম্পদ অর্জন করেছেন, যার কোনো ব্যাখ্যা নেই। তিনি পুতিনের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এ জন্য আর্থিক ও বস্তুগত সুবিধা পেয়ে থাকেন তিনি।


পুতিনের কথিত প্রেমিকা এলিনা কাভায়েভা সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তিনি রাশিয়ার সাবেক একজন আইনপ্রণেতা (এমপি)। একই সঙ্গে তিনি রাশিয়ার ন্যাশনাল মিডিয়া গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান। ন্যাশনাল মিডিয়া গ্রুপ হলো রাশিয়ার সর্ববৃহৎ বেসরকারি মালিকানাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান।

মন্তব্যসমূহ