গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৩

  যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত লাহিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর  হামলায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এই তথ্য দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, গাজার একটি ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর এএফপির। সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়ার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার পর আমাদের এজেন্সির কর্মীরা ৭৩ জন শহীদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অনেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন শহীদের মরদেহ রয়ে গেছে।’ মাহমুদ বাসাল জানান, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শেষ ভাগে ইসরায়েলের চালানো ওই হামলায় বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। হামলাটি চালানো হয় একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের (আইডিএফ) কাছে আসা তথ্যের সঙ্গে হতাহতের সংখ্যার মিল নেই। তবে, এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবরণও তারা দেয়নি বা কাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছ

পুতিনের প্রেমিকা ও সাবেক স্ত্রীর ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা

 




ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কারণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথিত প্রেমিকা ও সাবেক স্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।


বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পুতিনের স্ত্রী লুদমিলা ওচেরেতনায়া ও কথিত প্রেমিকা সাবেক জিমন্যাস্ট এলিনা কাভায়েভা যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন না। একই সঙ্গে দেশটিতে তাদের সম্পদও জব্দ হবে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার হাজারের বেশি মানুষের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।


যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এ নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেছেন, পুতিনের ঘনিষ্ঠজনদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করছে যুক্তরাজ্য। তিনি বলেন, ‘পুতিনের বিলাসবহুল জীবনযাপনে ছায়া হয়ে থাকা নেটওয়ার্ককে উন্মোচিত ও লক্ষ্যবস্তু করেছে’ যুক্তরাজ্য। ইউক্রেন জয়ী না হওয়া পর্যন্ত পুতিনের আগ্রাসনে সহায়তা ও প্ররোচনা দেওয়া সবার ওপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে। ইউক্রেন থেকে সব রুশ সেনা চলে গেলেই এসব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।


যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, পুতিনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর লুদমিলা ওচেরেতনায়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অগ্রাধিকারভিত্তিতে ব্যবসার সঙ্গে সঙ্গে উল্লেখযোগ্য সম্পদ অর্জন করেছেন, যার কোনো ব্যাখ্যা নেই। তিনি পুতিনের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এ জন্য আর্থিক ও বস্তুগত সুবিধা পেয়ে থাকেন তিনি।


পুতিনের কথিত প্রেমিকা এলিনা কাভায়েভা সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তিনি রাশিয়ার সাবেক একজন আইনপ্রণেতা (এমপি)। একই সঙ্গে তিনি রাশিয়ার ন্যাশনাল মিডিয়া গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান। ন্যাশনাল মিডিয়া গ্রুপ হলো রাশিয়ার সর্ববৃহৎ বেসরকারি মালিকানাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান।

মন্তব্যসমূহ