হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

অশ্লীল চ্যাট ফাঁস, কলকাতা থেকে ঢাকায় ফেরানো হল কূটনীতিককে

 



এক নারীর সঙ্গে অশ্লীল ভিডিও চ্যাট করার অভিযোগে বাংলাদেশের এক কূটনীতিককে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ওই কূটনীতিক কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনে কর্মরত ছিলেন। তবে ওই কূটনীতিক যে নারীর সঙ্গে চ্যাট করছিলেন, তিনি আসলে কে, তা নিয়ে এখনো কিছুটা ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।


এদিকে, এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। কলকাতায় বাংলাদেশের উপ রাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসানের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেই আদেশ।ছবি : বিবিসি বাংলা


তৌফিক হাসান বলেন, ‌‘কিছুদিন আগে একটি ফেসবুক আইডি থেকে আমাদের অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে একটি ভিডিও পাঠানো হয়। ওই ভিডিওটি দেখেই আমরা জানতে পারি যে ডেপুটি হাই কমিশনে নিযুক্ত একজন কূটনীতিক এক নারীর সঙ্গে অশ্লীল চ্যাট করেছেন। বিষয়টা খুবই স্পর্শকাতর এবং একটি পত্রিকায় ঘটনাটা আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই অফিসারকে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।’


ওই অফিসারকে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যে বদলির নির্দেশ এসেছে, তার কপিও বিবিসি পেয়েছে। সেই নির্দেশে অবশ্য বদলির কোনো কারণ লেখা নেই। শুধু বলা হয়েছে, ওই কূটনীতিককে কলকাতার দায়িত্বভার ত্যাগ করে অবিলম্বে ঢাকায় সদর দপ্তরে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।


ওই কূটনীতিক ইতোমধ্যেই ঢাকায় ফিরেছেন বলেও বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।


হাই কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, ওই কূটনীতিক বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পরে তদন্তের সম্মুখীন হয়েছেন। এটাও জানা যাচ্ছে যে বিষয়টির ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় থেকেও কলকাতা উপ দূতাবাসের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।


প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এ রকম একটা ঘটনা কেন ডেপুটি হাই কমিশনের অন্য কর্মকর্তাদের নজরে আগে এলো না।


এদিকে, ওই নারীর পরিচয় নিয়ে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে। যে ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি ডেপুটি হাই কমিশনে পাঠানো হয়েছিল, সেই আইডি কার নামে, সেটা জানতে পেরেছে বিবিসি। কিন্তু সেই পরিচয় প্রকাশ করেনি সংবাদমাধ্যমটি। আবার তিনি ভারতীয় নাগরিক কি না, সেটাও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।


মন্তব্যসমূহ