শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

১৫ আগস্টের মধ্যে দেশে আসছে আরও ৫৪ লাখ টিকা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

 




স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে দেশে আরও ৫৪ লাখ টিকা আসছে। এর মধ্যে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আসছে ৩৪ লাখ টিকা। এ ছাড়া এই ৫৪ লাখ টিকার মধ্যে চীন থেকে কেনা ১০ লাখ এবং চীন সরকারের উপহারের আরও ১০ লাখ টিকাও রয়েছে। আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠক শেষে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।


এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও জানান, চীন থেকে আরও ছয় কোটি টিকা কেনার ব্যাপারে সায় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ব্যাপারে চীন সরকারও অনুমোদন দিয়েছে। একনেক থেকে অনুমোদন পেলে চুক্তি হবে। চুক্তি হওয়ার পর ছয় কোটি থেকে সেপ্টেম্বরে আসবে এক কোটি পাঁচ লাখ, অক্টোবরে আসবে দুই কোটি ও নভেম্বরে আসবে আরও দুই কোটি টিকা।


বাইরে থেকে টিকা নেওয়া প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক আরও জানান, টিকা নেওয়া ক্ষেত্রে যাতে পরে কোনো সংকটের মুখোমুখি না হতে হয়, সেজন্য সতর্ক থাকতে হচ্ছে। ভারত থেকে টিকা কেনার পরও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা টিকা দিতে পারেনি, তাই সতর্ক থাকতে হচ্ছে।


দেশে টিকাদানের কার্যক্রম চলমান থাকবে জানিয়ে এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এর মধ্যে টিকার সংকট হবে না। গ্রামাঞ্চলের বয়স্ক ব্যক্তিরা টিকা কার্যক্রমে অগ্রাধিকার পাবেন। দেশে বয়স্কদের মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ। তাই তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, নিয়মিত টিকা কার্যক্রমের বাইরে গণটিকা কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত ৩০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছ বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

মন্তব্যসমূহ