হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 



আফগানিস্তানের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলসহ অন্য এলাকায় বিভিন্ন সংস্থায় বাংলাদেশের যাঁরা কর্মরত আছেন, আমার জানা মতে তাঁরা সবাই নিরাপদে ও ভালো আছেন।’ আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


এদিকে, কাবুলের কারাগার থেকে তিন বাংলাদেশির পালানোর খবর প্রকাশ হওয়া প্রসঙ্গে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আফগানিস্তানে আমাদের দূতাবাস নেই। পাশের উজবেকিস্তান দূতাবাস থেকে আমরা এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করছি এবং সেখানকার পরিস্থিতির খবর নেওয়া হচ্ছে। সেই দূতাবাস জানিয়েছে, কাবুলের কারাগার থেকে তিন বাংলাদেশি পালিয়েছেন। ওই তিন জনের একজন উজবেকিস্তান দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ কথা জানিয়েছেন এবং সাহায্য চেয়েছেন।’


পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যখন মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে, তখন থেকেই আমরা সেখানকার পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। যদিও আফগানিস্তানের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক নেই, এরপরও সেখানকার পরিস্থিতি যখন নাজুক হয়ে আসছিল, তখন থেকেই সেখানে অবস্থান করা ব্র্যাকের ৪০০ থেকে ৫০০ কর্মীদের ব্যাপারে আমরা সংস্থাটিকে জানিয়েছি, যেন তারা সেসব কর্মীদের সহযোগিতা করেন। তারা তাদের কর্মীদের নিরাপত্তার মধ্যেই রেখেছে।’


এদিকে, বাংলাদেশে আফগানিস্তানের বেশ কিছু নাগরিককে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে এবং এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে কারা এই প্রস্তাব দিয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে নাম উল্লেখ না করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘একটি শক্তিধর দেশ দিয়েছে।’

মন্তব্যসমূহ