গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৩

  যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত লাহিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর  হামলায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এই তথ্য দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, গাজার একটি ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর এএফপির। সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়ার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার পর আমাদের এজেন্সির কর্মীরা ৭৩ জন শহীদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অনেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন শহীদের মরদেহ রয়ে গেছে।’ মাহমুদ বাসাল জানান, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শেষ ভাগে ইসরায়েলের চালানো ওই হামলায় বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। হামলাটি চালানো হয় একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের (আইডিএফ) কাছে আসা তথ্যের সঙ্গে হতাহতের সংখ্যার মিল নেই। তবে, এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবরণও তারা দেয়নি বা কাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছ

ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে তুলাধোনা চীনের

 





মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনায় ভূমিকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করে চীন বলছে, মার্কিন ভেটোর কারণেই নিরাপত্তা পরিষদ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না।


ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়ে মঙ্গলবার (১৮ মে) একটি বিবৃতি দিয়েছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


এতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র যা করছে, তা গভীর হতাশাজনক। ফিলিস্তিনিরা যখন নিপীড়নের শিকার, তখন যুক্তরাষ্ট্র এভাবেই মানবাধিকারের বুলি আওড়ায়, নাকি এসব মার্কিন স্বার্থসিদ্ধির অজুহাত?



প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কী এটিকেই নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক শাসন বলছে।


এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ঝাও লিজিয়ান বলেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বন্ধে নিবৃত্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার বদলে যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনায় ইন্ধন যোগাতে প্রস্তুত। নিরাপত্তা পরিষদে নজিরবিহীনভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র এবং মানবজাতির স্বাভাবিক বোধ ও নৈতিক চেতনার বিপরীতে তাদের অবস্থান।


এর আগে হামাস-ইসরায়েল অস্ত্রবিরতি চেয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি বিবৃতি আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 


চীন বলছে, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে আচরণ করছে, তাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মারাত্মকভাবে হতাশ। লোকজন হয়তো সহায়তা করতে পারছে না, কিন্তু জিজ্ঞাসা করছে, যুক্তরাষ্ট্র যে মানবাধিকার ও মূল্যবোধের অধিকারী বলে দাবি করছে আসছে, এটি কী সেই কূটনীতি?


ঝাও লিজিয়ান বলেন, মুসলমানদের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যখন কথা বলছে, তখন তারা ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার নিয়ে উদাসীন কেন?


ওয়াশিংটনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কেবল নিজ স্বার্থের প্রতিই নজর রাখে, তাতে ঘটনা যা-ই হোক না কেন। মানবাধিকারকে কী তারা অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে না? ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে পদক্ষেপ নিতে নিরাপত্তা পরিষদকে বাধা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।


মন্তব্যসমূহ