হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে তুলাধোনা চীনের

 





মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনায় ভূমিকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করে চীন বলছে, মার্কিন ভেটোর কারণেই নিরাপত্তা পরিষদ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না।


ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়ে মঙ্গলবার (১৮ মে) একটি বিবৃতি দিয়েছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


এতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র যা করছে, তা গভীর হতাশাজনক। ফিলিস্তিনিরা যখন নিপীড়নের শিকার, তখন যুক্তরাষ্ট্র এভাবেই মানবাধিকারের বুলি আওড়ায়, নাকি এসব মার্কিন স্বার্থসিদ্ধির অজুহাত?



প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কী এটিকেই নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক শাসন বলছে।


এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ঝাও লিজিয়ান বলেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বন্ধে নিবৃত্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার বদলে যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনায় ইন্ধন যোগাতে প্রস্তুত। নিরাপত্তা পরিষদে নজিরবিহীনভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র এবং মানবজাতির স্বাভাবিক বোধ ও নৈতিক চেতনার বিপরীতে তাদের অবস্থান।


এর আগে হামাস-ইসরায়েল অস্ত্রবিরতি চেয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি বিবৃতি আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 


চীন বলছে, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে আচরণ করছে, তাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মারাত্মকভাবে হতাশ। লোকজন হয়তো সহায়তা করতে পারছে না, কিন্তু জিজ্ঞাসা করছে, যুক্তরাষ্ট্র যে মানবাধিকার ও মূল্যবোধের অধিকারী বলে দাবি করছে আসছে, এটি কী সেই কূটনীতি?


ঝাও লিজিয়ান বলেন, মুসলমানদের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যখন কথা বলছে, তখন তারা ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার নিয়ে উদাসীন কেন?


ওয়াশিংটনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কেবল নিজ স্বার্থের প্রতিই নজর রাখে, তাতে ঘটনা যা-ই হোক না কেন। মানবাধিকারকে কী তারা অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে না? ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে পদক্ষেপ নিতে নিরাপত্তা পরিষদকে বাধা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।


মন্তব্যসমূহ