শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে তুলাধোনা চীনের

 





মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনায় ভূমিকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করে চীন বলছে, মার্কিন ভেটোর কারণেই নিরাপত্তা পরিষদ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না।


ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়ে মঙ্গলবার (১৮ মে) একটি বিবৃতি দিয়েছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


এতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র যা করছে, তা গভীর হতাশাজনক। ফিলিস্তিনিরা যখন নিপীড়নের শিকার, তখন যুক্তরাষ্ট্র এভাবেই মানবাধিকারের বুলি আওড়ায়, নাকি এসব মার্কিন স্বার্থসিদ্ধির অজুহাত?



প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কী এটিকেই নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক শাসন বলছে।


এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ঝাও লিজিয়ান বলেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বন্ধে নিবৃত্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার বদলে যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনায় ইন্ধন যোগাতে প্রস্তুত। নিরাপত্তা পরিষদে নজিরবিহীনভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র এবং মানবজাতির স্বাভাবিক বোধ ও নৈতিক চেতনার বিপরীতে তাদের অবস্থান।


এর আগে হামাস-ইসরায়েল অস্ত্রবিরতি চেয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি বিবৃতি আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 


চীন বলছে, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে আচরণ করছে, তাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মারাত্মকভাবে হতাশ। লোকজন হয়তো সহায়তা করতে পারছে না, কিন্তু জিজ্ঞাসা করছে, যুক্তরাষ্ট্র যে মানবাধিকার ও মূল্যবোধের অধিকারী বলে দাবি করছে আসছে, এটি কী সেই কূটনীতি?


ঝাও লিজিয়ান বলেন, মুসলমানদের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যখন কথা বলছে, তখন তারা ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার নিয়ে উদাসীন কেন?


ওয়াশিংটনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কেবল নিজ স্বার্থের প্রতিই নজর রাখে, তাতে ঘটনা যা-ই হোক না কেন। মানবাধিকারকে কী তারা অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে না? ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে পদক্ষেপ নিতে নিরাপত্তা পরিষদকে বাধা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।


মন্তব্যসমূহ