হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

লকডাউনে শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ, ৪ ঘণ্টা খোলা রাখার দাবি

 





করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় আগামী ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার। এ সময় দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তবে চার ঘণ্টা করে খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ী সমিতি। 


প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের চলাফেরা যাতে কমাতে পারি সেজন্য আমরা আপাতত এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দিচ্ছি। সরকারি ও বেসরকারি অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। সব ধরনের মার্কেট বন্ধ থাকবে। আমাদের জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান, ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস, ফায়ার সার্ভিসের অফিস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অফিস, সংবাদপত্র অফিস- এই ধরনের অফিস খোলা থাকবে। শিল্প ও কলকারখানা খোলা থাকবে, সেখানে একাধিক শিফট করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে শ্রমিকেরা কাজ করেন— সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’


ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘মানুষের চলাচল যাতে একেবারে সীমিত করে ফেলা যায়, আমরা সেই পদক্ষেপ নেব। কেউ অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে পারবে না।’


এদিকে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কাপড়ের ব্যবসায়ীরা সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন রোজার ঈদে ব্যবসা করার জন্য। এ সময়ে বিক্রি করতে না পারলে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাঁরা। দোকানপাট পুরো বন্ধ করা একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। কেননা পাইকারি ব্যবসায়ীদের চলতি সপ্তাহে বিক্রির সময়। এ সপ্তাহে বিক্রি করতে না পারলে খুচরা দোকানিরা জিনিসপত্র নিতে পারবেন না। এতে ঈদে সমস্যা তৈরি হবে। আমরা চার ঘণ্টা করে দোকান খোলা রাখার আবেদন করেছি। দেখি সরকার কী সিদ্ধান্ত দেয়। তবে আমাদের দাবি, এই লকডাউন যেন এক সপ্তাহের বেশি না বাড়ে।’

মন্তব্যসমূহ