নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসা হয়েছে। সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় লঞ্চ থেকে আরও ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে মোট ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
এর আগে রোববার (৪ এপ্রিল) অর্ধশত যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে। গতকাল পর্যন্ত পাঁচ নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল ২০ জনকে। এছাড়া নিখোঁজ ছিলেন অন্তত ২৯ জন। বিআইডব্লিউটিএর ১৮ ঘণ্টা ধরে চলা উদ্ধার অভিযান শেষে আরও ২১ জনের মরদেহ পাওয়া যায়।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে অর্ধশত যাত্রী ছিলেন। গতকাল ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লঞ্চটি উদ্ধারের পর আরও ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
এদিকে স্বজনদের খোঁজে নদীর পাড়ে পরিবারের সদস্যরা ভিড় করেছেন। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।
স্বজনহারাদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে শীতলক্ষ্যার তীর। লঞ্চটি তীরে আনার সঙ্গে সঙ্গে নিখোঁজদের সন্ধানে ভিড় করেন স্বজনরা।
এদিকে মোবাইল ফোনে ধারণ করা ছবিতে দেখা যায়, বড় একটি কার্গোজাহাজ যাত্রীবাহী একটি লঞ্চকে ধাক্কা দিয়ে পিষে চলে যায়। আর এতেই ঘটে এ দুর্ঘটনা।
রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল দোতলা ছোট আকারের যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘সাবিত আল আসাদ’। মদনগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু এলাকায় পৌঁছালে এসকে-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর লঞ্চের অনেক যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠে আসলেও নিখোঁজ ছিলেন অনেকে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হয় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী সদস্যদের। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় পৌঁছে কাজ শুরু করে। রাত ১০টার দিকে জাহাজটির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর একে একে উদ্ধার করা হয় মরদেহ।
গত বছর জুনে বুড়িগঙ্গায় একইভাবে মর্নিং বার্ড-২ নামে একটি লঞ্চডুবে ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল।
মন্তব্যসমূহ