হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

সু চির বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ সেনাবাহিনীর

 




মিয়ানমারের গৃহবন্দি নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে আদালতে নতুন আরও দুটি অভিযোগ এনেছে দেশটির সেনাবাহিনী। আজ সোমবার রাজধানী নেপিদোতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের শুনানিতে অংশ নেন সু চি। এ সময় তাঁকে সুস্থ দেখা গেছে।


বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সু চির পক্ষের একজন আইনজীবী আদালতে নতুন এ অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরবর্তী শুনানি হবে ১৫ মার্চ।


সু চির বিরুদ্ধে এর আগেও দুটি অভিযোগ আনা হয়। একটি ছিল ওয়াকিটকি কেনার ও আরেকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংক্রান্ত আইন ভঙ্গের অভিযোগ।


সু চির আইনজীবীরা জানিয়েছেন, শুনানির আগে সু চির সঙ্গে তারা দেখা করতে পারেননি। ৭৫ বছর বয়সী সু চি যখন শুনানিতে ছিলেন, তখনও রাজপথে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ মানুষ।


সামরিক অভ্যুত্থানের পর গতকাল রোববার সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন দেখেছে মিয়ানমার। এদিন বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৮ জন মারা গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও অনেকে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।


এমন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরদিন আজ সোমবারও রাস্তায় নেমেছেন বিক্ষোভকারীরা। দেশটির শান রাজ্যের লাসিও শহরে সোমবার বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। রয়টার্স সেখানকার ছবি প্রকাশ করেছে।


গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে নেয়। ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির নেত্রী অং সান সু চি ও অন্য শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে সামরিক বাহিনী। এর পর থেকেই দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে।

মন্তব্যসমূহ