হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

এ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক বলা যায় না : মাহবুব তালুকদার

 




দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত দেশের ৬০টি পৌরসভা নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, পৌরসভার নির্বাচনে ক্রমাগত সহিংসতা বেড়ে চলেছে। সহিংসতা ও নির্বাচন একসাথে চলতে পারে না।


শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের দেয়া এক লিখিত বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন। এর আগে রাজধানীর অদূরে সাভার পৌরসভার তিনটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন তিনি।


লিখিত বক্তব্যে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আমি সাভার পৌরসভার তিনটি ভোটকেন্দ্রের ১৮টি বুথ পরিদর্শন করি। দুপুর ১টা পর্যন্ত ওই সব ভোটকেন্দ্রে সাত হাজার ৩১১ জন ভোটারের মধ্যে এক হাজার ২৩২ জন ভোট দিয়েছেন। তিনটি বুথে তিনজন বিরোধীদলীয় প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট দেখতে পাই কিন্তু অন্য কোথাও এজেন্ট ছিল না। এছাড়া সাভার পৌর এলাকায় বিরোধীদলীয় প্রার্থীর কোনো পোস্টার দেখতে পাইনি। এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক বলা যায় না। যেকোনো নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে তা সিদ্ধ হয় না। একতরফা নির্বাচন কখনো কাম্য নয়।


তিনি আরো বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে ক্রমাগত সহিংসতা বেড়েই চলছে। সহিংসতা ও নির্বাচন একসাথে চলতে পারে না। নির্বাচন প্রক্রিয়ার পরিবর্তন না হলে এই সহিংসতা বন্ধ করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে সবার ঐকমত্য আবশ্যক। যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে মানুষের জীবন অনেক বেশি মূল্যবান।


উল্লেখ্য, শনিবার দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৬০টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয়। সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর মধ্যে ২৮টি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়। বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের ভোট বর্জনের ঘটনাও ঘটেছে।

মন্তব্যসমূহ