জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ২৭০০ সেনা হারিয়েছে আজারবাইজান




 বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে টানা ছয় সপ্তাহ সংঘাত হয়। এতে আজারবাইজানের ২৭৮৩ জন সেনা নিহত হয়েছেন এবং শতাধিকের বেশি সেনা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে আজারবাইজানের কর্তৃপক্ষ। খবর-রয়টার্সের।  


এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বরের পর থেকে নতুন করে নাগোরনো-কারাবাখে আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে  আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি প্রকাশ করেনি বাকু।    


১০ নভেম্বর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে চুক্তি হয়।  এর আগ পর্যন্ত প্রায় তিন দশক ধরে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করেছে জাতিগত আর্মেনীয়রা। ১৯৯০ এর দশকে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটিতে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। 


এদিকে আর্মেনিয়ার পক্ষ থেকে সামরিক বাহিনীর নিহতের চূড়ান্ত সংখ্যাটি প্রকাশ করা হয়নি। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ১৪ নভেম্বর জানিয়েছেন, ২৩১৭ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। 

মন্তব্যসমূহ