হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

এবার ফ্রান্সে মসজিদে আগুন!

 



এবার ফ্রান্সে একটি মসজিদ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। 


শনিবার (৩১ অক্টোবর) দেশটির মসজিদ কমিটির প্রধান এ তথ্য জানিয়েছেন। সোমবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে।


ফ্রান্সের ইসলামিক কনফেডারেশন ন্যাশনাল অপিনিয়নের (সিআইএমজি) সাধারণ সম্পাদক ফাতিহ সাইকি বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেন, কেউ একজন একটি ক্যানে পেট্রোল ভরে তা মসজিদে ছুড়ে মারে। সেখান থেকেই মসজিদে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। তবে ভাগ্য ভালো সেই আগুন বড় আকার ধারণ করতে পারেনি। আগুনে মসজিদের বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি।


এ ঘটনায় মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিকটস্থ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ মসজিদটি পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।


এক বিবৃতিতে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, মসজিদে আগুন দেয়ার এই ঘটনাকে তারা ‘অগ্নিসংযোগের চেষ্টা’ হিসেবেই দেখছেন। তদন্তের স্বার্থে সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


এদিকে ফ্রান্সের রাস্তায় রাস্তায় এখন সেনাবাহিনীর টহল। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে ফ্রান্সের চার্চগুলো। শিল্প আর সাহিত্যের প্যারিস যেন ভয় আর আতঙ্কের। শুরুটা হয়েছিল বিতর্কিত রম্য ম্যাগাজিন শার্লি এবদোর মহানবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ থেকে। সেই আগুনে ঘি ঢেলে বিতর্ক উসকে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।


ম্যাক্রোঁর বিরূপ মন্তব্যের জেরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফরাসি পণ্য বয়কটের পাশাপাশি বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।


সূত্র: আনাদুল এজেন্সি 

মন্তব্যসমূহ