শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

কারাবাখ নিয়ে ফ্রান্সের নিন্দা জানিয়েছে আজারবাইজান

 




বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে ফ্রান্সের সিনেটরদের রেজ্যুলেশনের নিন্দা জানিয়েছে আজারবাইজানের পার্লামেন্ট। নাগোরনো-কারাবাখকে প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বানের পরেই বৃহস্পতিবার আজেরি পার্লামেন্টে নিন্দা জানায়। 


পার্লামেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফরাসী সিনেটেরদের এ পদক্ষেপ ইইউ কাউন্সিল কর্তৃক ২০১৬ সালে গৃহীত দেশগুলোর আঞ্চলিক অখণ্ডতা সম্পর্কিত নথি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশ ও সুরক্ষা নীতি সম্পর্কিত বৈশ্বিক কৌশলে ফ্রান্সের যেসব প্রতিশ্রুতি তার সঙ্গে খাপ খায় না।


বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়, যে কোনো দেশ এটিকে (নাগোরনো-কারাবাখ) প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে না।  


বিবৃতিতে বলা হয়, তিন দশক থেকে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘাত কিছু দেশের শান্তি আলোচনার নামে ভূমিকার কারণে সমাধান হয়নি।


নাগোরনো কারাবাখ শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯২ ইউরোপ ভিত্তিক মিনস্ক গ্রুপ গঠন করা হয়। এই গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছে- ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই গ্রুপটি কোনো সমাধান দিতে পারেনি। 


উল্লেখ্য, ২৫ নভেম্বর নাগোরনো-কারাবাখকে প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে ভোট দেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। ওই দিন সংসদে নাগোরনো-কারাবাখকে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে একটি রেজ্যুলেশন পাস করা হয়। এ ঘটনার পরই ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানায় আজারবাইজান। 

মন্তব্যসমূহ