হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

কারাবাখ নিয়ে ফ্রান্সের নিন্দা জানিয়েছে আজারবাইজান

 




বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে ফ্রান্সের সিনেটরদের রেজ্যুলেশনের নিন্দা জানিয়েছে আজারবাইজানের পার্লামেন্ট। নাগোরনো-কারাবাখকে প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বানের পরেই বৃহস্পতিবার আজেরি পার্লামেন্টে নিন্দা জানায়। 


পার্লামেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফরাসী সিনেটেরদের এ পদক্ষেপ ইইউ কাউন্সিল কর্তৃক ২০১৬ সালে গৃহীত দেশগুলোর আঞ্চলিক অখণ্ডতা সম্পর্কিত নথি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশ ও সুরক্ষা নীতি সম্পর্কিত বৈশ্বিক কৌশলে ফ্রান্সের যেসব প্রতিশ্রুতি তার সঙ্গে খাপ খায় না।


বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়, যে কোনো দেশ এটিকে (নাগোরনো-কারাবাখ) প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে না।  


বিবৃতিতে বলা হয়, তিন দশক থেকে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘাত কিছু দেশের শান্তি আলোচনার নামে ভূমিকার কারণে সমাধান হয়নি।


নাগোরনো কারাবাখ শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯২ ইউরোপ ভিত্তিক মিনস্ক গ্রুপ গঠন করা হয়। এই গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছে- ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই গ্রুপটি কোনো সমাধান দিতে পারেনি। 


উল্লেখ্য, ২৫ নভেম্বর নাগোরনো-কারাবাখকে প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে ভোট দেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। ওই দিন সংসদে নাগোরনো-কারাবাখকে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে একটি রেজ্যুলেশন পাস করা হয়। এ ঘটনার পরই ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানায় আজারবাইজান। 

মন্তব্যসমূহ