হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু বৃদ্ধের সৎকার করলেন মুসলিম প্রতিবেশীরা

 




ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার একটি গ্রামে রামধনু রজক (৭০) নামে এক বৃদ্ধ মারা যাওয়ার পর সন্তান ও আত্মীয়রা কাছে না থাকায় একমাত্র হিন্দু প্রতিবেশীর সৎকার করলেন মুসলিমরা।


পশ্চিম বর্ধমানের জামুরিয়া এলাকার দেশেরমহান গ্রামে রোববার এ ঘটনা ঘটে। এ গ্রামে ২৩০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে রজকের পরিবারই একমাত্র হিন্দু পরিবার। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।


রামধনু রজকের ছেলে ও মেয়েরা কাছে না থাকায় প্রতিবেশীরা খবর দেন তাদের। তার পর গ্রামের সবার সম্মতিতে হিন্দু ধর্মের রীতি অনুযায়ী তাকে রোববার সৎকারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সৎকারের পর তার এক ছেলে গ্রামে আসেন। বাকিরা অন্য রাজ্যে থাকায় তাই সৎকারের জন্য আসতে পারেননি।


কয়েক দিন আগে গাছ থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রামধনু রজক। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।


গ্রামের বাসিন্দা শেখ মুবারক জানান, দেশেরমহান গ্রামের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুরো এলাকায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মৃত ব্যক্তি ধর্মীয় বিশ্বাসে হিন্দু হলেও আমাদের গ্রামেরই একজন সম্মানীয় ব্যক্তি ছিলেন।


এই গ্রাম প্রমাণ করল, মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে। সে হিন্দু হোক, মুসলিম হোক বা অন্য যে ধর্মেরই হোক না কেন।

মন্তব্যসমূহ