হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে ২ ভারতীয় সেনা নিহত



 জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণের ফলে নায়েক প্রেম বাহাদুর খতরি এবং রাইফেল ম্যান সুখবীর সিং নামে দু’জন ভারতীয় সেনা জওয়ান নিহত হয়েছেন।


আজ (শুক্রবার) জম্মু ভিত্তিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেবেন্দর আনন্দ পাকিস্তানি সেনারা বিনাপ্ররোচনায় রাজৌরি জেলার সুন্দেরবানী সেক্টরে অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলিবর্ষণ করার কথা জানান। ভারতীয় সেনা জওয়ানরাও পাল্টা গুলিবর্ষণের মধ্যদিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে  উপযুক্ত ও কঠোর জবাব দিয়েছে। উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন সেনাবাহিনীর দুই সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।


অন্যদিকে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) পাকিস্তানি সেনার গুলিতে পুঞ্চের কিরনি সেক্টরে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হন সুবেদার স্বতন্ত্র সিং। পাকিস্তানি বাহিনী ভারতীয় সেনার অগ্রবর্তী ঠিকানা টার্গেট করে মর্টার হামলা ও গুলিবর্ষণ করলে ওই কর্মকর্তা নিহত হন।


বৃহস্পতিবার পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কিরনি, কসবা, দিগওয়ার, মালটি ও দালান সেক্টরে সামরিক চৌকি ও বেসামরিক আবাসিক এলাকা টার্গেট করে হালকা ও বড় অস্ত্রের সাহায্যে ব্যাপক গোলাগুলিবর্ষণ করে। পাক বাহিনীর  গোলাগুলির ফলে কিরনির সেক্টরে সেনাবাহিনীর সুবেদার পদমর্যাদার স্বতন্ত্র সিং এবং একজন বেসামরিক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন।


আহত সেনা কর্মকর্তাকে উধমপুর কমান্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। একইসময়ে,  মুহাম্মাদ রশিদ (৫০) নামে আহত স্থানীয় এক বাসিন্দাকে চিকিৎসার জন্য গ্রামবাসীরা রাজা সুখ দেব সিং জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জম্মুর জিএমসি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।


পার্সটুডে

মন্তব্যসমূহ