হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আরও ১৩ গ্রাম মুক্ত করল আজারবাইজান

 




আর্মেনিয়ার দখল থেকে নতুন করে আরও ১৩ গ্রাম মুক্ত করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী।জাবরাইল জেলার এ গ্রামগুলো আর্মেনিয়ার দখলে রেখে ছিল।  সোমবার এক ঘোষণায় এ কথা জানিয়েছেন আজেরি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। খবর ইয়েনি শাফাকের।

 

তিনি এক টুইটে বলেন, জাবরাইল জেলার সোলতানলি, এমিরভারলি, মাশানলি, হাসানলি, আলিকেখানলি, গুমলাগ, হাজিলি, গোয়েরসিভেইসালনি, নিয়াজিগুজলার, খেসেল মেমমেদলি, শাহভেললি, হাজি ইসমাইলি এবং ইসাগলি গ্রামগুলো মুক্ত করা হয়েছে। কারাবাখ আজারবাইজানের।  


‘তাদের জঘন্য আক্রমণের কারণে সেখানে মৃত ও আহত হয়েছে। আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর পাল্টা উপযুক্ত জবাবে সেখানকার বসতিগুলো মুক্ত করা হয়।’   


তিনি বলেন, আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী চরমভাবে মানবিক যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে।  তারা আজারবাইজানের আবাসিক এলাকা ও সামরিক অবস্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হামলা চালিয়েছে।  


২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়ায়। পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ম্যারথন আলোচনা হয়।


এতে উভয় পক্ষ মানবিক কারণে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবন্দিসহ অন্যান্য বন্দি বিনিময় ও মৃতদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে উভয় দেশ সম্মত হয়।


১১ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান পরস্পরকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘেনের জন্য অভিযুক্ত করে।


দ্বিতীয়বারের মতো শনিবার রাত থেকে যুদ্ধবিরতির পরপরই গানজাতে আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন ৫০ জন। 


কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওই দশকেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।

মন্তব্যসমূহ