জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

ভূমধ্যসাগরে ফের নৌকাডুবি, ১৫ অভিবাসীর মৃত্যু

 





ভূমধ্যসাগরের লিবীয় উপকূলে আবারও নৌকাডুবে ১৫ অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। তারা উত্তাল সাগর পথে অবৈধভাবে ইউরোপের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। বুধবার (২১ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা। 


আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মুখপাত্র সাফা মাসহেলি জানান, নৌকাডুবির খবর পেয়ে সাগর থেকে ৫ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের সাবরাথা শহরে ফিরিয়ে নেয়া হয়।


গেল রোববার রাতে জাওয়া শহরের পশ্চিমাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসে অভিবাসবাহী নৌকাটি। উপকূল থেকে ২৯ কিলোমিটার দূরে গিয়ে ডুবে যায়। তারা কোন দেশের নাগরিক তা স্পষ্ট করেননি উদ্ধকারীরা।


আইওএম-এর তথ্য মতে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২০২০ সালে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকালে নৌকা ডুবে ২৮০ অভিবাসী নিখোঁজ হন।


২০১১ সালে লিবিয়ার তৎকালীন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হত্যার পরই দেশটি মানবপাচারের অন্যতম রুট ব্যবহার করে আসছে দালাল চক্র। ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী উত্তাল সাগরে প্রাণ হারিয়েছেন।


তবে সম্প্রতি লিবিয়া হয়ে অবৈধ উপায়ে ইউরোপে প্রবেশের ঠেকাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ।

মন্তব্যসমূহ