গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৩

  যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত লাহিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর  হামলায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এই তথ্য দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, গাজার একটি ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর এএফপির। সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়ার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার পর আমাদের এজেন্সির কর্মীরা ৭৩ জন শহীদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অনেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন শহীদের মরদেহ রয়ে গেছে।’ মাহমুদ বাসাল জানান, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শেষ ভাগে ইসরায়েলের চালানো ওই হামলায় বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। হামলাটি চালানো হয় একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের (আইডিএফ) কাছে আসা তথ্যের সঙ্গে হতাহতের সংখ্যার মিল নেই। তবে, এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবরণও তারা দেয়নি বা কাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছ

ভূমধ্যসাগরে ফের নৌকাডুবি, ১৫ অভিবাসীর মৃত্যু

 





ভূমধ্যসাগরের লিবীয় উপকূলে আবারও নৌকাডুবে ১৫ অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। তারা উত্তাল সাগর পথে অবৈধভাবে ইউরোপের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। বুধবার (২১ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা। 


আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মুখপাত্র সাফা মাসহেলি জানান, নৌকাডুবির খবর পেয়ে সাগর থেকে ৫ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের সাবরাথা শহরে ফিরিয়ে নেয়া হয়।


গেল রোববার রাতে জাওয়া শহরের পশ্চিমাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসে অভিবাসবাহী নৌকাটি। উপকূল থেকে ২৯ কিলোমিটার দূরে গিয়ে ডুবে যায়। তারা কোন দেশের নাগরিক তা স্পষ্ট করেননি উদ্ধকারীরা।


আইওএম-এর তথ্য মতে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২০২০ সালে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকালে নৌকা ডুবে ২৮০ অভিবাসী নিখোঁজ হন।


২০১১ সালে লিবিয়ার তৎকালীন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হত্যার পরই দেশটি মানবপাচারের অন্যতম রুট ব্যবহার করে আসছে দালাল চক্র। ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী উত্তাল সাগরে প্রাণ হারিয়েছেন।


তবে সম্প্রতি লিবিয়া হয়ে অবৈধ উপায়ে ইউরোপে প্রবেশের ঠেকাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ।

মন্তব্যসমূহ