হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ভূমধ্যসাগরে ফের নৌকাডুবি, ১৫ অভিবাসীর মৃত্যু

 





ভূমধ্যসাগরের লিবীয় উপকূলে আবারও নৌকাডুবে ১৫ অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। তারা উত্তাল সাগর পথে অবৈধভাবে ইউরোপের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। বুধবার (২১ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা। 


আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মুখপাত্র সাফা মাসহেলি জানান, নৌকাডুবির খবর পেয়ে সাগর থেকে ৫ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের সাবরাথা শহরে ফিরিয়ে নেয়া হয়।


গেল রোববার রাতে জাওয়া শহরের পশ্চিমাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসে অভিবাসবাহী নৌকাটি। উপকূল থেকে ২৯ কিলোমিটার দূরে গিয়ে ডুবে যায়। তারা কোন দেশের নাগরিক তা স্পষ্ট করেননি উদ্ধকারীরা।


আইওএম-এর তথ্য মতে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২০২০ সালে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকালে নৌকা ডুবে ২৮০ অভিবাসী নিখোঁজ হন।


২০১১ সালে লিবিয়ার তৎকালীন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হত্যার পরই দেশটি মানবপাচারের অন্যতম রুট ব্যবহার করে আসছে দালাল চক্র। ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী উত্তাল সাগরে প্রাণ হারিয়েছেন।


তবে সম্প্রতি লিবিয়া হয়ে অবৈধ উপায়ে ইউরোপে প্রবেশের ঠেকাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ।

মন্তব্যসমূহ