হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

জোড়া হামলায় আতঙ্কে ফ্রান্স, দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা

 





ফ্রান্সের নিস শহরে গির্জায় ছুরি হামলায় তিনজন নিহত ও অপর এক ঘটনায় হামলা চেষ্টাকারী পুলিশের গুলিতে নিহতের পর দেশ জুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসটেক্স এ ঘোষণা দিয়েছেন।মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এখবর জানিয়েছে।


খবরে বলা হয়েছে, দুই মাসের মধ্যে মুসলিমদের দ্বারা তিনটি হামলা হয়েছে ফ্রান্সে। এর মধ্যে স্যামুয়েল প্যাতি নামে এক শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ইসলামের নবী হযরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে ব্যাঙ্গাত্বক চিত্র প্রকাশ করার পর অবস্থার অবনতি হতে থাকে দেশটিতে।  


শিক্ষক হত্যার ঘটনায় মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তার এ ঘোষণায় আরব বিশ্বে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক আসে। ইসলামের প্রতি এমন মানসিকতার জন্য ম্যাক্রোঁর মানসিক চিকিৎসা দরকার বলে মন্তব্য করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসপ তাইয়্যিপ এরদোগান।  


বৃহস্পতিবার সকালে ফ্রান্সের নিস শহরে গির্জায় হামলার তিনজন নিহত হয়েছেন।এরমধ্যে এক নারীর শিরশ্ছেদ করা হয়েছে।এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলীয় আভিনিওঁ শহরের একটি এলাকায় পুলিশের গুলিতে এক বন্দুকধারী নিহত হয়েছে।ওই ব্যক্তি ‘আল্লাহু আকবর’ বলে বন্দুক নিয়ে পথচারী এবং পুলিশের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল।


ফ্রান্সের নিস শহরের মেয়র খ্রিশ্চ এস্থুজি গির্জায় ছুরি হামলার ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসী’ হামলা বলে বর্ণনা করেছেন। 


মেয়র জানান, হামলাকারী ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার করছিল। তাকে আটক করার পরও সে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার করে যাচ্ছিল। গির্জার ভেতরে নিহতদের মধ্যে একজনকে গির্জারটির ওয়ার্ডেন বলে মনে করা হচ্ছে।


সাংবাদিকদের মেয়র এস্থুজি বলেন, আটক করার সময় সন্দেহভাজন ছুরি হামলাকারীকে গুলি করে পুলিশ, সে বেঁচে আছে, তাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।


এদিকে ফরাসি দূতাবাস জানিয়েছে, জেদ্দা কনস্যুলেটে ছুরি হাতে এক প্রহরীকে হামলা করা হয়। ওই প্রহরীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।


এক বিবৃতিতে দূতাবাস বলেছে, ফরাসি দূতাবাস এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কোনো কূটনৈতিক স্থাপনায় কোনো ধরনের হামলার ন্যায্যতা নেই।


অন্যদিকে তুরস্ক, পাকিস্তান ও ইরানসহ অন্যান্য মুসলিম দেশের ধারাবাহিকতায় ফ্রান্সের নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মহানবী হযরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে আপত্তিজনক ব্যাঙ্গচিত্র প্রকাশ কিংবা সন্ত্রাসের সঙ্গে ইসলামকে জড়ানোর যেকোনো উদ্যোগের নিন্দা জানাচ্ছে রিয়াদ।

মন্তব্যসমূহ