জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিবর্ষণে সুকদেব সিং নামে এক ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আজ (মঙ্গলবার) গণমাধ্যমে প্রকাশ, গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর রাজৌরি জেলার নৌসেরা সেক্টরে পাকিস্তানি বাহিনী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গুলিবর্ষণ করলে ওই সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ভারতীয় সেনারা ওই ঘটনায় পাল্টা গুলিবর্ষণের মধ্য দিয়ে যথাযথ জবাব দিয়েছে।
জম্মুভিত্তিক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেবেন্দর আনন্দ বলেন, পাকিস্তানি বাহিনীর বিনাপ্ররোচনায় গুলিবর্ষণ ও শেলিংয়ের কার্যকরভাবে জবাব দেওয়া হয়েছে।
আজ হিন্দি গণমাধ্যম জাগরণ ডটকম জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানি বাহিনী নৌসেরা সেক্টরে বাবাখোরি, নাম্ব, কাদালি, সাইর, মাকরি, ঘান্যা ও অন্য এলাকায় গুলিবর্ষণের পাশাপাশি মর্টার হামলা চালায়। তারা সেনাবাহিনীর অগ্রবর্তী চৌকিসহ আবাসিক এলাকায় মর্টার শেল নিক্ষেপ করে। ১২০ মিমি মর্টার শেলগুলো মানুষজনের বাড়ির আশপাশে পড়ে। সাধারণ মানুষকে এসময়ে তাদের জীবন বাঁচাতে বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। ওইদিন রাতে পাকিস্তানি বাহিনী পুঞ্চে গুলিবর্ষণ শুরু করে। অনেক রাত পর্যন্ত উভয়পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলিবর্ষণ চলে।
গত ১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনাবাহিনীর অগ্রবর্তী চৌকি টার্গেট করে পাকিস্তানি বাহিনী গুলিবর্ষণ করলে হাবিলদার কুলদীপ সিং (৩৭) ও রাইফেলম্যান শুভম শর্মা (২২) এবং পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে আসা পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে ল্যান্সনায়েক কারনেল সিং নিহত হন। সেই ঘটনার জের না কাটতেই এবার ফের পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিবর্ষণের ফলে নিহত হলেন জেসিও সুকদেব সিং।
এরআগে গত ২ সেপ্টেম্বর নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর রাজৌরি সেক্টরের কেরি ও তারাকুন্ডিতে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিবর্ষণ ও শেল নিক্ষেপের ফলে সুবেদার রাজেশ কুমার নামে এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছিলেন।
গত ৩০ আগস্ট রাজৌরি জেলার নৌসেরা সেক্টরে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিবর্ষণে রাজবিন্দর সিং নামে এক জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) নিহত হয়েছিলেন। এসকল সমস্ত ঘটনায় ভারতীয় সেনাবাহিনী কার্যকর, কঠোর ও যথাযথভাবে পাকিস্তানি বাহিনীকে পাল্টা জবাব দিয়েছে।
পার্সটুডে
মন্তব্যসমূহ