হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আরও দশটা লংমার্চ হবে: বাবুনগরী

 




হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, আল্লামা আহমদ শফী দেশে ভ্রান্ত মতবাদ ও ইসলামবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে গেছেন। ২০১৩ সালে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদের আগ্রাসী আস্ফালনের বিরুদ্ধে দেশের আলেম সমাজ ও তাওহিদী জনতাকে নিয়ে ইতিহাসের নজিরবিহীন গণআন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন।


ওই সময় আমি আল্লামা শফীর সঙ্গে লংমার্চে ও শাপলা চত্বরে ছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় কোনো বিদআত, শিরক, মাজার পূজারী, কাদিয়ানী, শিয়া ও নাস্তিক-মুরতাদের সঙ্গে বিন্দুমাত্র আপস করা যাবে না। প্রয়োজনে সব অপশক্তির বিরুদ্ধে এ ধরনের একটা নয়, আরও দশটা লংমার্চ করতে হবে।


শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী ডাকবাংলো চত্বরে হাটহাজারী ওলামা পরিষদ আয়োজিত শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীর জীবন, কর্ম ও অবদান শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।


ওলামা পরিষদের সহ-সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ শফির সভাপতিত্বে হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে তিনি মোনাজাত পরিচালনা করেন।


হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, ওলামা পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাছির উদ্দীন মুনীর, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরীস, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম মেহেদীর যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা সভার বিশেষ আলোচক ছিলেন ঢাকা জামিয়া রহমানিয়ার শায়খুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হক।


বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আল্লামা শেখ আহমদ, সিনিয়র আল্লামা ইয়াহইয়া, পটিয়া মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা আবু তাহের নদভী, নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার পরিচালক আল্লামা মুফতী হাবিবুর রহমান কাসেমী, চারিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল্লাহ হারুন, মেখল মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মুফতী মুহাম্মাদ আলী কাসেমী, বাথুয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস আল্লামা জাফর আহমদ প্রমুখ।


দৈনিক যুগান্তর

মন্তব্যসমূহ