হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আর্মেনিয়ার আরেকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করল আজারবাইজান

 





আর্মেনিয়ার আরেকটি সুখোই-২৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি করেছে আজারবাইজান।বোরবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেশ কিছু দিন পরে তারা আরেকটি আর্মেনীয় সুখোই-২৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।  


এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার আজারবাইজানের জাবরাইল অঞ্চলে বিমান হামলার চেষ্টা করার সময় সেটিকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়।    


মন্ত্রণালয় বলছে, আজারবাইজানের সেনাবাহিনী স্থানীয় সময় সাড়ে ১২টার দিকে যুদ্ধবিমানটি ধ্বংস করে।  


তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, আর্মেনিয়ার যুদ্ধবিমান ধ্বংস করায় আজারবাইজানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার। 


আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই আর্মেনিয়ার বাহিনীকে ঘণ্টার মধ্যে মানবিক যুদ্ধবিরতি গুরুতর লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযুক্ত করেছে। 


২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়ায়। পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ম্যারথন আলোচনা হয়।


এতে উভয় পক্ষ মানবিক কারণে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবন্দিসহ অন্যান্য বন্দি বিনিময় ও মৃতদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে উভয় দেশ সম্মত হয়।


১১ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান পরস্পরকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘেনের জন্য অভিযুক্ত করে।


দ্বিতীয়বারের মতো শনিবার রাত থেকে যুদ্ধবিরতির পরপরই গানজাতে আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।  এর মধ্যে চারজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে।  এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন ৫০ জন। 


কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওই দশকেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।

মন্তব্যসমূহ