হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

হোটেলের দরজা ভেঙে মরিয়ম নওয়াজের স্বামীকে গ্রেফতার (ভিডিও)

 





পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কন্যা মরিয়ম নওয়াজের স্বামী অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন সফদারকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। সোমবার (১৯ অক্টোবর) করাচির একটি হোটেল কক্ষের দরজা ভেঙে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে দেশটির গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। মরিয়ম নওয়াজও টুইট করে তার স্বামী গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


সংবাদ মাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন সমাবেশে ক্ষমতাসীন ইমরান খান সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন মরিয়ম নওয়াজ। এর জেরেই মরিয়ম নওয়াজের স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 


এক টুইট বার্তায় মরিয়ম জানিয়েছেন, করাচির একটি হোটেলে তারা অবস্থান করছিলেন। সোমবার ভোরে হোটেল কক্ষের দরজা ভেঙে পুলিশ জোর করে তাদের কক্ষে প্রবেশ করে। এ সময় মরিয়ম ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। এরপর পুলিশ তার স্বামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। 


এদিকে ক্ষমতাসীন দল পিটিআই নেতা ও ইমরান সরকারের মন্ত্রী আল জাইদি মরিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ কারও কক্ষের দরজা ভাঙেনি। মরিয়ম মিথ্যাচার করছেন বলে অভিযোগ তার।


এর আগে রোববার (১৮ অক্টোবর) পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলোর ইমরানবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দেন মরিয়ম নওয়াজ। ওই বিক্ষোভে স্লোগান দেন ক্যাপ্টেন সফদার। পুলিশের অভিযোগ, ওই স্থানে বিক্ষোভ করে সমাধির পবিত্রতা নষ্ট করা হয়েছে। এ কারণে মরিয়ম, সফদারসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ সফদারকে গ্রেফতার করেছে।


তাকে গ্রেফতারের পর কোথায় রাখা হয়েছে তা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

মন্তব্যসমূহ