হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

পাকিস্তানের মাদ্রাসায় শক্তিশালী বিস্ফোরণ, নিহত ৭ আহত ৭২

 




পাকিস্তানের একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (মাদ্রাসায়) শক্তিশালী বোমা হামলায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। পেশোয়ারের এ হামলায় আহত হন কমপক্ষে ৭২ জনের বেশি। হতাহতের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু বলে খবর প্রকাশ করেছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।


মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দির কলোনীর স্পেন জামায়াত মসজিদ, যা স্থানীয় শিশুদের জন্য একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করা হয় সেখানে এ বিস্ফোরণ ঘটে।


পুলিশ জানায়, বিস্ফোরণে ভবনটির প্রার্থনার সামনের অংশ পুরোপুরি ধসে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে শুধু ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষতচিহ্ন। কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।


পুলিশে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওয়াকার আজীম বলেন, মাদ্রাসায় কোরআনের ক্লাসে চলাকালীন বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে কেউ একটি ব্যাগ রেখে গেছেন বলে বার্তা সংস্থা এফপিকে বলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী বলে জানান স্থানীয় হাসপাতালের এক মুখপাত্র।


প্রাথমিক প্রতিবেদনে সেখানে উন্নত বিস্ফোরক যন্ত্র- আইইডি ব্যবহার করা হয় বলে জানা গেছে। বিস্ফোরণে পাঁচ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা বলে ধারণা করছেন তিনি পুলিশ কর্মকর্তা। 


নৃশংশ এই হামলায় এখনো কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। ইতিমধ্যে ওই এলাকার আশপাশ ঘিরে রেখেছেন নিরাপত্তা সদস্যরা। বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে চুলচেরা অভিযানে চালানো হচ্ছে। 


এদিকে, হামলায় থমকে গেছে পেশোয়ারের স্বাভাবিক জনজীবন। হতাতদের খোঁজ নিতে হাসপাতাল পরিদর্শন গেছেন খাইবারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাইমুর সালিম।


তীব্র নিন্দা জানিয়ে তথ্য মন্ত্রী শিবলী ফারাজ বলেন, 'যারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের সঙ্গে মানবতার কোন সম্পকৃততা নেই। তাদের যে কোন মূল্যে পরাস্ত করবো'।


হতাহতের পরিবারের প্রতি গভীর শোক জানিয়েছেন দেশটির বিরোধীদলের নেতা-কর্মীরা।


এ ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আত্মঘাতী হামলা হয়নি বলে স্থানীয় প্রশাসন প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। কারণ সেখানে একটি ব্যাগ ভর্তি বিস্ফোরক কেউ রেখেছিল লে ধারণা করা হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ