শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

পাকিস্তানের মাদ্রাসায় শক্তিশালী বিস্ফোরণ, নিহত ৭ আহত ৭২

 




পাকিস্তানের একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (মাদ্রাসায়) শক্তিশালী বোমা হামলায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। পেশোয়ারের এ হামলায় আহত হন কমপক্ষে ৭২ জনের বেশি। হতাহতের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু বলে খবর প্রকাশ করেছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।


মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দির কলোনীর স্পেন জামায়াত মসজিদ, যা স্থানীয় শিশুদের জন্য একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করা হয় সেখানে এ বিস্ফোরণ ঘটে।


পুলিশ জানায়, বিস্ফোরণে ভবনটির প্রার্থনার সামনের অংশ পুরোপুরি ধসে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে শুধু ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষতচিহ্ন। কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।


পুলিশে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওয়াকার আজীম বলেন, মাদ্রাসায় কোরআনের ক্লাসে চলাকালীন বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে কেউ একটি ব্যাগ রেখে গেছেন বলে বার্তা সংস্থা এফপিকে বলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী বলে জানান স্থানীয় হাসপাতালের এক মুখপাত্র।


প্রাথমিক প্রতিবেদনে সেখানে উন্নত বিস্ফোরক যন্ত্র- আইইডি ব্যবহার করা হয় বলে জানা গেছে। বিস্ফোরণে পাঁচ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা বলে ধারণা করছেন তিনি পুলিশ কর্মকর্তা। 


নৃশংশ এই হামলায় এখনো কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। ইতিমধ্যে ওই এলাকার আশপাশ ঘিরে রেখেছেন নিরাপত্তা সদস্যরা। বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে চুলচেরা অভিযানে চালানো হচ্ছে। 


এদিকে, হামলায় থমকে গেছে পেশোয়ারের স্বাভাবিক জনজীবন। হতাতদের খোঁজ নিতে হাসপাতাল পরিদর্শন গেছেন খাইবারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাইমুর সালিম।


তীব্র নিন্দা জানিয়ে তথ্য মন্ত্রী শিবলী ফারাজ বলেন, 'যারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের সঙ্গে মানবতার কোন সম্পকৃততা নেই। তাদের যে কোন মূল্যে পরাস্ত করবো'।


হতাহতের পরিবারের প্রতি গভীর শোক জানিয়েছেন দেশটির বিরোধীদলের নেতা-কর্মীরা।


এ ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আত্মঘাতী হামলা হয়নি বলে স্থানীয় প্রশাসন প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। কারণ সেখানে একটি ব্যাগ ভর্তি বিস্ফোরক কেউ রেখেছিল লে ধারণা করা হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ