শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আজারবাইজানে আর্মেনিয়ার হামলা, নিহত ২১

 





বিতর্কিত নার্গোনো-কারাবাখ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে আর্মেনীয় বাহিনীর হামলায় নতুন করে আজারবাইজানের ২১ বেসামরিক নিহত হয়েছেন। বুধবার ২৮ অক্টোবর আর্মেনীয় বাহিনী বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলেও দাবি পাশ্ববর্তী দেশ আজারবাইজানের। বুধবারের হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে অস্বীকার করেছে আর্মেনীয় প্রশাসন।


বাকুর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বার্দা জেলার সীমান্তের কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়লে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করলো দুদেশ।


যদিও উল্টো বাকুর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে ইয়েরেভান। বলছে, নার্গোনো-কারাবাখে আজারবাইজানের নতুন করে ধ্বংসাত্মক হামলায় বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারাচ্ছেন।


প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস বলেছে, জনবহুল অঞ্চল এবং একটি শপিং-এ আঘাত হানলে ২১ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং কমপক্ষে ৭০ জন আহত হন।


এদিকে, আর্মেনীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাতে রিয়া নোভোস্তি গণমাধ্যম জানায়,  নার্গোনো-কারাবাখের আর্মেনিয়ার সীমান্তে রুশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। 'তুরস্ক, ইরানের পাশাপাশি আর্মেনিয়ার দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তে রুশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে'।


১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আজারবাইজানের ভূখণ্ড নার্গোনো-কারাবাখ দখল করে নেয়া আর্মেনিয়া। তারপর থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা চলছে। 


গেলো ৩০ বছর ধরে আজারবাইজানের ২০ শতাংশ ভূখণ্ড অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে আর্মেনিয়া।


১৯৯২ সালে সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ফ্রান্স, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে ওএসসিই মিনস্ক গ্রুপ গঠন করা হয়। ১৯৯৪ সালে যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তিতে একমত হয় আজারবাইজান-আর্মেনিয়া। কিন্তু সংকটের কোনো সমাধান হয়নি।


জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা এবং অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা আজারবাইজানের ভূখণ্ড ছেড়ে দেয়ার জন্য আর্মেনিয়ার প্রতি আহ্বান জানালেও তাতে সাড়া দেয়নি ইয়েরেভান।


আজারবাইজানের আত্মরক্ষা এবং নার্গোনো কারাবাখ থেকে আর্মেনিয়ার উচ্ছেদ দাবি করে বাকুকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বশক্তিগুলো যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।

মন্তব্যসমূহ