হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

উইঘুর মুসলিমদের চীনে ফেরত পাঠাচ্ছে আরব দেশগুলো

 





উদীয়মান শক্তি চীনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের অধিক মনোযোগী আরব দেশগুলো। সম্পর্ক উন্নয়নের অংশ হিসেবে ভিন্ন মতাবলম্বী উইঘুর মুসলিম নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়ায় ইতি টানছে তারা। পালিয়ে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশী উইঘুরদের গ্রেফতার করে চীনে ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে। বেইজিংয়ের সাথে মিলে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসরসহ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো অনেক উইঘুর শিক্ষার্থী ও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের হয়রানি করছে। অবশ্য এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে আরব দেশগুলো ও চীন।


একজন উইঘুর নারী বলেছেন, নিজের স্বামীকে পাঁচ বছর ধরে দেখছেন না তিনি। সৌদি আরবে হজ পালনের সময় তাকে গ্রেফতার করে তাকে চীনে ফেরত পাঠানো হয়। বর্তমানে তুরস্কে অবস্থান করা ওই নারী বলেছেন, আমাদের সন্তানেরা পিতৃহীন হয়ে পড়েছেন। আমরা নিজ থেকেই এখানে চলে এসেছি। চীন সরকার ২০১৪ সাল থেকে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জিনজিয়াং প্রদেশে স্বাধীনতাকামী উইঘুর মুসলিমদের ওপর নিপীড়নমূলক অভিযান চালিয়ে আসছে। কিরগিজস্তান, কাজাখস্তান ও মঙ্গোলিয়া সীমান্তঘেঁষা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলটি ১৯৪৯ সাল থেকে চীনের নিয়ন্ত্রণে।


জিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় ১ কোটি উইঘুর মুসলমানের বসবাস। সেখানে তাদের আধিপত্য টেনে ধরতে চীন সরকার আদিবাসী চাইনিজ হান জাতিগোষ্ঠীর বসতি বাড়াচ্ছে। বিবিসি


মন্তব্যসমূহ