গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৩

  যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত লাহিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর  হামলায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এই তথ্য দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, গাজার একটি ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর এএফপির। সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়ার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার পর আমাদের এজেন্সির কর্মীরা ৭৩ জন শহীদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অনেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন শহীদের মরদেহ রয়ে গেছে।’ মাহমুদ বাসাল জানান, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শেষ ভাগে ইসরায়েলের চালানো ওই হামলায় বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। হামলাটি চালানো হয় একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের (আইডিএফ) কাছে আসা তথ্যের সঙ্গে হতাহতের সংখ্যার মিল নেই। তবে, এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবরণও তারা দেয়নি বা কাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছ

উইঘুরে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন বন্ধের দাবিতে ১৩০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি

 





চীনের উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ১৩০ জন ব্রিটিশ এমপি। এ নিয়ে মঙ্গলবার ব্রিটেনে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লিউ শিয়াওমিংয়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তারা। এতে সই করেছেন হাউস অব কমন্স এবং হাউস অব লর্ডসের সদস্যরা। খবর আরব নিউজের।


খবরে বলা হয়, উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীন যে আচরণ করে চলেছে তা অবশ্যই ‘জাতিগত নির্মূলের’ উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবেই এ ধরনের নির্যাতন চালানো হচ্ছে। জার্মানিতে নাৎসিরা যে ধরনের অত্যাচার চালিয়েছিল উইঘুর মুসলিমদের ওপরও সেই ধরনের অত্যাচার চলছে।


জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমরা কিভাবে বসবাস করছে সে সম্পর্কে সব কিছু প্রকাশ্যে আনতে হবে। বিশ্ববাসীর উদ্বেগ দূর করতেই এই পদক্ষেপ নিতে হবে বেইজিংকে। যদিও উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার।


সেখানে তারা ভয়াবহ নির্যাতনের কথা বলছেন। তাদের চলাফেরার ওপর নিয়ন্ত্রণ, বন্দিশালায় আটকে রাখা, শিশুদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে দূরে রাখা, নিয়মিত ঘরবাড়ি তল্লাশি করা, হুমকি দেয়া এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন তারা।


তবে বেইজিং দাবি করেছে, চীন সরকার সর্বদা জাতিগত সংখ্যালঘুদের বৈধ অধিকার রক্ষা করে। চীনের অন্যান্য অংশের লোকদের সঙ্গে যেমন আচরণ করা হয় উইঘুরদের সঙ্গেও একই আচরণ করা হয়।

মন্তব্যসমূহ