হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

এবার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ছে বাহরাইন

 





সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার ইসরায়েলের সঙ্গে ‘স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক’ স্থাপনের ঘোষণা দিল বাহরাইন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল শুক্রবার রাতে এক টুইটার বার্তায় জানান, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয়েছে বাহরাইন। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও বাহরাইন একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।


এর আগে ট্রাম্প গতকাল এক টুইটে বলেন, ‘৩০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে।’


এরপরই যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও বাহরাইনের প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহরাইনের রাজতান্ত্রিক সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে সম্মত হয়েছে।


এর আগে গত ১৩ আগস্ট ট্রাম্প ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। মুসলিম বিশ্বে আরব আমিরাতের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষ ও সংগ্রামী ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের সিদ্ধান্তকে তাদের পিঠে ছুরি বসিয়ে দেওয়ার নামান্তর বলে মন্তব্য করে।


ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জবরদখল করে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে বেশিরভাগ আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন বা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে বিরত ছিল। বেশিরভাগ আরব দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার শর্ত হিসেবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করে এই সংকট সমাধানের কথা ঘোষণা করেছিল; যদিও আরব দেশগুলোর সাধারণ জনগণ ফিলিস্তিন থেকে ইসরায়েল রাষ্ট্র উৎখাতের পক্ষপাতী। তবে দৃশ্যত, আরব দেশগুলো তাদের শর্ত পূরণ না হতেই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মন্তব্যসমূহ