শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গকে পুলিশের উপর্যুপরি গুলি (ভিডিও)

 



বর্নবাদী আন্দোলনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে পুলিশের গুলিতে এক কৃষ্ণাঙ্গ আহত হয়েছেন। তার নাম জ্যাকব ব্লেক। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই অঙ্গরাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষুব্ধদের দমাতে কারফিউ জারি করে কর্তৃপক্ষ। খবর রয়টার্স ও ইয়েনি শাফাকের।


এর আগে চলতি বছরের ২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হন। এরপরই বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গোটা যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।


উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, রোববার সন্ধ্যায় জ্যাকব ব্লেক নামের ওই কৃষ্ণাঙ্গকে কয়েকবার গুলি করে পুলিশ। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ব্লেককে পরপর ৭টি গুলি করে পুলিশ।


গুলির ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ বের হয়। এতে দেখা গেছে অঙ্গরাজ্যের কেনোসা শহরে গাড়িতে ওঠার জন্য ব্লেক যখন হেঁটে যাচ্ছেন। এ সময় তাকে অনুসরণ করছে দুই পুলিশ সদস্য।


ব্লেক গাড়ির দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে গুলি করে তাদেরই একজন। এর প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ পথে নেমে আসে। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।


বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের জেরে রাতভর কারফিউ জারি করা হয়।


এ ঘটনায় কেনোসা পুলিশ বিভাগ বলছে, একটি ‘পারিবারিক ঘটনার’ মীমাংসা করতে পুলিশ সদস্যদেরকে ডাকা হয়েছিল। গুলিতে আহত ব্লেককে পুলিশই হাসপাতালে নিয়ে গেছে। তবে কেন তাকে গুলি করা হল সে ব্যাপারে ওই বিবৃতিতে বিস্তারিত জানানো হয়নি।


ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদেরকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে সোমবার সকালে জানিয়েছে উইসকনসিনের আইন মন্ত্রণালয়। অঙ্গরাজ্যটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে বলে জানানো হয়।

মন্তব্যসমূহ