হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে ওমান ও বাহরাইন, ইউএই’কে অভিনন্দন

 



ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়ে দেশটির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করায় সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (ইউএই) অভিনন্দন জানিয়েছেন বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল-খলিফা। এক ফোনকলে আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদকে তিনি বলেন, ‘চুক্তিটি শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’। বাহরাইনের রাষ্ট্র পরিচালিত বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে ইসরাইলি গণমাধ্যম দ্য হারেৎস। অপরদিকে হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তারা বলছেন, ইউএই’র পর এবার ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়ে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপন করবে ওমান ও বাহরাইন।

গত বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে নিজেদের মধ্যকার চুক্তির ঘোষণা দেয় ইসরাইল ও আরব আমিরাত। চুক্তিটির মধ্যস্ততা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তি অনুসারে, ইসরাইল ও আমিরাতের মধ্যকার সকল প্রকার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে। এর বদলে, পশ্চিম তীর অধিগ্রহণ পরিকল্পনা স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে, মিসর ও জর্ডানের পর তৃতীয় আরব দেশ ও প্রথম উপসাগরীয় আরব দেশ হিসেবে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে আমিরাত।

চুক্তিটি ঘোষণার পরপরই এটির প্রতি সমর্থন জানায় বাহরাইন।

এক ফোনকলে মোহাম্মদ বিন জায়েদকে চুক্তিটির জন্য অভিনন্দন জানান বাদশাহ হামাদ। বলেন, এটি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করবে। তিনি আরো বলেন, এই চুক্তি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমিরাতের পর ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে ওমান ও বাহরাইনও। ৬ সদস্য বিশিষ্ট প্রভাবশালী উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে বাহরাইনই প্রথম ইউএই-ইসরাইল চুক্তির প্রশংসা করেছে। বাহরাইনে মার্কিন পঞ্চম ঘাঁটি রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প চুক্তিটিকে ঐতিহাসিক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে ফিলিস্তিনিরা চুক্তিটির তীব্র সমালোচনা করেছে। এটিকে ‘প্রতারণা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ফিলিস্তিনি নেতারা এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটি ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন। আমিরাত থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে আরব লীগের একটি জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব জানিয়েছে, আমরা নিশ্চিত করছি যে, সংযুক্ত আরব আমিরাত বা অন্যকোনো গোষ্ঠীর ফিলিস্তিনি জনগণের হয়ে কথা বলার অধিকার নেই। এক টুইটে শীর্ষ ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদ হানান আশরাওয়ি তিক্ততা নিয়ে লিখেন, আপনাদের বন্ধুরা যেন আপনাদের কখনো বিকিয়ে না দেয়। ইরান ও তুরস্কও চুক্তিটিকে ‘প্রতারণা’ আখ্যা দিয়েছে।

মন্তব্যসমূহ