হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আল-জাজিরার মালয়েশিয়া কার্যালয়ে পুলিশি অভিযান, কম্পিউটার জব্দ




করোনা লকডাউনে অভিবাসী শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে প্রতিবেদনের জের ধরে আল- জাজিরার কুয়ালালামপুর কার্যালয়ে তল্লাশী চালিয়েছে মালয়েশিয়া পুলিশ। মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুলিশি অভিযানে কার্যালয়ের কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে।

গত ৩ জুলাই আল জাজিরায় প্রচারিত ‘১০১ ইস্ট’ অনুষ্ঠানে “লকড আপ ইন মালয়েশিয়াস লকডাউন” শিরোনামে করোনাকালে মালয়েশিয়ায় অভিবাসী শ্রমিকদের অবস্থা নিয়ে ২৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। প্রতিবেদনটিতে করোনা মহামারিতে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের সঙ্গে সরকারের আচরণ নিয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বাংলাদেশি অভিবাসী রায়হান কবির। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর আল জাজিরার বেশ কয়েকজন কর্মীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ। গ্রেপ্তার করা হয় রায়হান কবিরকে।

এক বিবৃতিতে আল জাজিরা পুলিশি অভিযান ও দুটি কম্পিউটার জব্দ করার কথা নিশ্চিত করেছে। আল জাজিরা ইংলিশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাইলস ট্রেন্ডেল বলেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় কর্তৃপক্ষের দমন-পীড়ন বৃদ্ধির অংশ হলো আমাদের কার্যালয়ে অভিযান ও কম্পিউটার জব্দ করা। মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষকে আমাদের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।

আল জাজিরা বলেছে, 'আমাদের অফিসে পুলিশি অভিযান পরিচালনা এবং কম্পিউটার জব্দ করা কর্তৃপক্ষের মিডিয়া স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন। এটি খুবই উদ্বেগজনক এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাংবাদিকদের দমন করার প্রচেষ্টা অশুভ ইঙ্গিত।' এই বিষয়ে মালয়েশিয়ার পুলিশের তাতক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্যসমূহ