হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

সূর্যের আলোতে বেরোলেই বিপদ, ২০ বছর ধরে হেলমেট পরে থাকেন ফাতিমা!



বিশ্বে আজো এমন অনেক রোগ রয়েছে, যার কোনো ওষুধ চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছে নেই। তেমনই একটি অদ্ভুত রোগের শিকার মরক্কোর বাসিন্দা ফাতিমা গাজেভি। তিনি এমন একটি রোগের শিকার যার জেরে বিগত প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি মাথায় মহাকাশচারীদের হেলমেট পরে থাকেন। সূর্যের আলোতে বেরোতে পারেন না।

আসলে ফাতিমার রয়েছে বিরল ত্বকের রোগ জিরোডার্মা পাইগামেন্টোসাম। যে কারণে তাকে গত ২০ বছর ধরে হেলমেট পরে থাকতে হয়। হেলমেট না পরে তিনি বাইরে বেরোন না। কারণ তার ত্বকে রোদ লাগলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

যখন ফাতিমার বয়স ১৩ ছিল, সে সময় তার এই বিরল রোগ ধরা পড়ে। সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসার ফলে সূর্য থেকে বের হওয়া আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি তার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। ভয়ের ব্যাপার হয় তখন, যখন জানা যায় তার ত্বক নিজে থেকে আবার ঠিক হতে পারে না।


বিশেষজ্ঞদের মতে, ফাতিমার যে রোগটি আছে তা আসলে জিনগত সমস্যা। এই রোগ থাকলে মুখের কোষগুলো তাদের মেরামত ক্ষতি করতে পারে না, তাই রোদ থেকে দূরে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত প্রত্যেকের শরীরে বিশেষ করে মুখে রোদ পড়তে পড়তে একসময় চামড়া পুড়ে যায়, তবে কোষগুলো তা নিজে থেকেই ঠিক করে নেয়।


এপি ফটো ব্লগের প্রতিবেদন অনুসারে, এই পরিস্থিতিতে যদি তাদের মুখে সূর্যের আলো পড়ে সেক্ষেত্রে চামড়া বা ত্বকে ক্যান্সার হতে পারে। এ কারণেই ফাতিমা গত ২০ বছর ধরে তার শরীরকে রোদের হাত থেকে বাঁচিয়ে আসছেন।

ফাতিমা এ কারণে দিনের বেলা বেশির ভাগ সময় ঘুমায় এবং রাতে বাইরে বের হয়। রোদ না থাকলেও সে ঘর থেকে বাইরে বেরোতে মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করে। ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত সে স্কুলেও গিয়েছিল। কিন্তু এরপর থেকে আর স্কুলে যেতে পারেনি। তবে বাড়িতে থাকাকালীন পড়াশুনা করেছে ফাতিমা।

সূত্র : এপি।

মন্তব্যসমূহ