জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি চীন: এফবিআই



যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘দীর্ঘমেয়াদে সবচেয়ে বড় হুমকি’ হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে চীন। যে কোনো উপায়ে পরাশক্তি হওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে দেশটি। এ জন্য গুপ্তচরগিরি ও চৌর্যবৃত্তি করে যাচ্ছে তারা।


মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের হাডসন ইনস্টিটিউটে দেয়া বক্তৃতায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) পরিচালক ক্রিস্টোফার রে এসব মন্তব্য করেছেন।

ঘণ্টাখানেকের ওই বক্তৃতায় তিনি বলেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বিষয়াদি, দরকারি ডাটা সব বিষয়েই চরবৃত্তি করছে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে তারা ঘুষ ও ব্ল্যাকমেইলের আশ্রয় নিচ্ছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের করোনাভাইরাস সম্পর্কিত গবেষণার তথ্য পাওয়ারও চেষ্টা করছে।


‘প্রয়োজনে যে কোনো উপায়ে বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি হতে চীন তার সমগ্র রাষ্ট্রকে কাজে লাগাচ্ছে,’ বলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থার এ পরিচালক আরও বলেন, এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছি আমরা যে এফবিআইকে এখন প্রতি ১০ ঘণ্টায় একটি করে চীন সংক্রান্ত কাউন্টার ইন্টিলিজেন্স মামলা খোলা লাগছে। এখন প্রায় ৫ হাজারের মতো কাউন্টার ইন্টিলিজেন্স মামলা সক্রিয় আছে, এর অর্ধেকই চীন সংক্রান্ত।

চীনা গুপ্তচরবৃত্তির পাল্টা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রও এখন দেশটির ব্যাপারে ব্যাপক গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান সিআইএ প্রধান।

চীনের হুমকি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামনের সপ্তাহগুলোতে বিস্তারিত জানাবেন বলেও জানান তিনি। 

মন্তব্যসমূহ