হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

প্রথম মুসলিম রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিল ইসরাইল



ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল নিজেদের বর্ণবাদী অপবাদ ঘোচানোর জন্য প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রদূত হিসেবে এক আরব বেদুইনকে নিয়োগ দিয়েছে। প্রচণ্ড মেধাবী এই মুসলিম রাষ্ট্রদূতের নাম ইসমাইল খালেদি। উঠে এসেছেন মেষপালক গোত্র থেকে। খবর জেরুজালেম পোস্টের।

সম্প্রতি ইসরাইল ৩ নারীসহ যে ১১ জন কূটনীতিককে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন ইসমাইল খালেদি।

কিন্তু এ পর্যন্ত আসতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তাকে। ইসরাইলে আরব বেদুইনদের বৈষম্যের বিষয়টি ফলাও করে বিশ্ববাসীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন ইসমাইল খালেদি।

ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির আস্থাভাজন এ আরব বেদুইন ২০০৪ সাল থেকে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো কনসোলেট এবং যুক্তরাজ্যের ইসরাইলি দূতাবাসেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন ইসমাইল খালেদি।

সম্প্রতি তাকে আফ্রিকার দেশ এরিত্রিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ইসরাইল।

ইসমাইল খালেদি আরব বেদুইনদের অধিকার আন্দোলনে বরাবরই সরব ছিলেন। ২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া পোস্টে তিনি বলেন, আরব বেদুইনদের তাদের অধিকার আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে ইসরাইলে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাওয়া উচিৎ।

একজন কূটনীতিক হয়েও তার দেশের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কথা বলতে পিছ পা হননি ইসমাইল খালেদি।

ইসরাইলের হাইফা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি এবং তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন খালেদি।

'অ্যা শেফার্ডস জার্নি: দ্যা স্টরি অফ ইসরাইলস ফার্স্ট বেদুইন ডিপ্লমেট' নামে গত জুনে একটি বই প্রকাশিত হয় খালেদির। এতে একজন মেষপালক থেকে কিভাবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কূটনীতিক হয়ে উঠেছেন- সেই কথা বর্ণনা করেছেন।

তার ওই আত্মজীবনীতে ইসরাইলের বর্ণবৈষম্যের কথাও তুলে ধরেছেন। জেরুজালেমের কেন্দ্রীয় বাসস্টেশনে একবার তাকে এক নিরাপত্তা কর্মী কালো বলে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন- এ কথাও তিনি লিখেছেন বইটিতে।

মন্তব্যসমূহ