হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ফিলিস্তিনিদের মসজিদে আগুন দিয়েছে ইসরাইলিরা



পশ্চিমতীরের রামাল্লার একটি মসজিদে আগুন দিয়েছে ইহুদি দখলদাররা। স্থানীয় সময় রোববার (২৬ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

ফিলিস্তিনের ধর্মবিষয়ক উপমন্ত্রী বলেন, হামলাকারীরা স্প্রে দিয়ে হিব্রু ভাষায় ফিলিস্তিন বিরোধী স্লোগান লিখেছে। তারপর মসজিদের ভেতরে বোমা নিক্ষেপ করেছে। বোমার আগুনে মসজিদের বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। ভাঙচুর চালানো হয়ে অজুখানায়।

এল-বিরেহের নামে মসজিদটি দখলদার ইসরাইলিদের একটি জনবসতির সামনের পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত।

মুহাম্মদ আবেদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ভোর তিনটায় মসজিদের মুয়াজ্জিন আমার মোবাইল ফোনে কল করেন। তিনি আমাকে জানান মসজিদে আগুন দেয়া হয়েছে। তখনই আমি প্রতিরক্ষা বিভাগকে বিষয়টি জানাই। এসে দেখি আগুন জ্বলছে। দমকল বাহিনীর সহায়তায় মজিদের কারপেট এবং যতটুকু সম্ভব মসজিদ রক্ষার চেষ্টা করি।’

ইসরাইলি পুলিশ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।  হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।

তবে এই হামলা আরববিরোধী কট্টর ইহুদি জাতীয়তাবাদী প্রাইস ট্যাগের সবশেষ নৃশংসতা বলে ধারাণা করা হচ্ছে। ওই গোষ্ঠীটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরবদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালিয়ে আসছে।

দখলদারিত্বের বিরোধিতা করায় প্রায়ই ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এমন হামলা হয়। যাদের ইসরাইলি সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করে বলে ধারণা করা হয়। এ গোষ্ঠীটি মুসলমানদের ধর্মীয় উপাসনালয়ের পাশাপাশি খ্রিস্টানের বিভিন্ন স্থাপনায়ও হামলা চালিয়ে আসছে।

মন্তব্যসমূহ