হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

পদ্মার গর্ভে ‘চরের বাতিঘর’



মাদারীপুরে পদ্মানদীর প্রবল স্রোতে একটি তিনতলা স্কুল নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের নুরুদ্দিন মাদবরকান্দি এস ই এস ডি পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ভবনটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া ঝুঁকিতে রয়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শিবচরের চরাঞ্চলে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত নুরুদ্দিন মাদবরকান্দি এস ই এস ডি পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক হাজারের বেশি। পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিদ্যালয়টির ভবন সকাল থেকেই হেলে পড়ে। একপর্যায়ে বিকেলে এটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন, একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং চালিয়ে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
 
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, মাদারীপুরের চারটি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তাদের জন্য ৩০৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া চার হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট হাতে হাতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। পানিবৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে ৮০৬টি পরিবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। পানিবন্দী মানুষের জন্য ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৭৭ জন মানুষ অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন।

মন্তব্যসমূহ