শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যু ১ লাখ ৭০ হাজার ছাড়াল




বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছে এক লাখ ৭০ হাজার ৪৩৯ জন। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।


প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৪ লাখ ৮১ হাজার ৫৪১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ছয় লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।

পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, এ পর্যন্ত যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল তার শতকরা ২১ ভাগ মানুষ মারা গেছে। করোনায় আক্রান্তদের শতকরা তিন ভাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক আর এমন গুরুতর রোগীর সংখ্যা ৫৭ হাজার ১৬২ জন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে এ পর্যন্ত যত মানুষ মারা গেছে তার মধ্যে আমেরিকা এখন সবার শীর্ষে। দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৪২ হাজার ৫১৭ জন।

এর মধ্যে নিউইয়র্ক শহরে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে। সেখানে গণকবরের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। কোনো কোনো হাসপাতালে লাশ রাখার জায়গা নেই।

এর পরেই রয়েছে ইতালি। সেখানে মারা গেছে ২৪ হাজার ১১৪ জন। স্পেনে মারা গেছে ২০ হাজার ৮৫২ জন। ফ্রান্সে ২০ হাজার ২৬৫, জার্মানিতে ৪ হাজার ৮৬২, ব্রিটেনে ১৬ হাজার ৫০৯, বেলজিয়ামে ৫ হাজার ৮২৮, নেদারল্যান্ডসে ৩ হাজার ৭৫১, চীনে ৪ হাজার ৬৩২ এবং ইরানে ৫ হাজার ২০৯ জন।

এ ছাড়া তুরস্কে এক হাজার ১৪০ জন, কানাডায় এক হাজার ৬৯০, সুইজারল্যান্ডে এক হাজার ৪২৯ ও সুইডেনে এক হাজার ৫৮০, ভারতে আক্রান্ত হয়েছে ১৮ হাজার ৬০১ জন এবং মারা গেছে ৫৯২ জন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ২ হাজার ৯৪৮ জন এবং মারা গেছে ১০১ জন।

মন্তব্যসমূহ