জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যু ১ লাখ ৭০ হাজার ছাড়াল




বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছে এক লাখ ৭০ হাজার ৪৩৯ জন। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।


প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৪ লাখ ৮১ হাজার ৫৪১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ছয় লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।

পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, এ পর্যন্ত যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল তার শতকরা ২১ ভাগ মানুষ মারা গেছে। করোনায় আক্রান্তদের শতকরা তিন ভাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক আর এমন গুরুতর রোগীর সংখ্যা ৫৭ হাজার ১৬২ জন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে এ পর্যন্ত যত মানুষ মারা গেছে তার মধ্যে আমেরিকা এখন সবার শীর্ষে। দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৪২ হাজার ৫১৭ জন।

এর মধ্যে নিউইয়র্ক শহরে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে। সেখানে গণকবরের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। কোনো কোনো হাসপাতালে লাশ রাখার জায়গা নেই।

এর পরেই রয়েছে ইতালি। সেখানে মারা গেছে ২৪ হাজার ১১৪ জন। স্পেনে মারা গেছে ২০ হাজার ৮৫২ জন। ফ্রান্সে ২০ হাজার ২৬৫, জার্মানিতে ৪ হাজার ৮৬২, ব্রিটেনে ১৬ হাজার ৫০৯, বেলজিয়ামে ৫ হাজার ৮২৮, নেদারল্যান্ডসে ৩ হাজার ৭৫১, চীনে ৪ হাজার ৬৩২ এবং ইরানে ৫ হাজার ২০৯ জন।

এ ছাড়া তুরস্কে এক হাজার ১৪০ জন, কানাডায় এক হাজার ৬৯০, সুইজারল্যান্ডে এক হাজার ৪২৯ ও সুইডেনে এক হাজার ৫৮০, ভারতে আক্রান্ত হয়েছে ১৮ হাজার ৬০১ জন এবং মারা গেছে ৫৯২ জন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ২ হাজার ৯৪৮ জন এবং মারা গেছে ১০১ জন।

মন্তব্যসমূহ