শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

করোনার ভ্যাকসিন মিলবে আগস্টে!




করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন এ বছরের আগস্টের মাঝামাঝি সময়েই তৈরির কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ সরকার গঠিত ভ্যাকসিন প্রস্তুত টাস্কফোর্সের অন্যতম উপদেষ্টা জন বেল।

শনিবার বিবিসি রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। খবর বিবিসি ও দ্য টেলিগ্রাফের।

জন বেল বলেন, চলতি সপ্তাহেই করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ শুরু করেছেন অস্কফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তবে কবে বাজারে আসবে তা বলা যাচ্ছে না। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা পরীক্ষা সম্পন্ন করা।

ব্রিটিশ সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হলো– এটি কি মানুষকে রক্ষা করবে? কারণ ভ্যাকসিনটির পুরো কার্যক্রম তখনই বলা যাবে, যখন আপনি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষের দেহে এর প্রয়োগ করবেন।

তার পর তাদের সুস্থ হওয়ার লক্ষণ দেখতে হবে। তারও পরে তাদের আবারও এই ভাইরাসটির সংস্পর্শে নিতে হবে এবং তখন তাদের মধ্যে কতজন ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়েছেন সেটি হিসাব করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, যদি সব কিছু ঠিকমতো এগোয় আর এটির কার্যকারিতা প্রত্যাশিত মানের হয়, তা হলে আমি মনে করি- অক্সফোর্ডের গবেষকরা আগস্টের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই এর সব ধরনের পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন।

তিনি জানান, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো তাদের তৈরি করোনার এই সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ শুরু করেছেন। এর আগে ভ্যাকসিনটি মানবদেহে প্রয়োগের কার্যকারিতা ও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আগামী মে মাসের মাঝামাঝি কিংবা শেষ দিকে যদি দেখা যায় মানুষের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থায় ভ্যাকসিনটির শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে, তা হলে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়ে যাবে। পরবর্তী এবং সবচেয়ে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াবে কীভাবে শত শত কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদনের কাজটি শুরু করা হবে।

মন্তব্যসমূহ