হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

করোনার ভ্যাকসিন মিলবে আগস্টে!




করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন এ বছরের আগস্টের মাঝামাঝি সময়েই তৈরির কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ সরকার গঠিত ভ্যাকসিন প্রস্তুত টাস্কফোর্সের অন্যতম উপদেষ্টা জন বেল।

শনিবার বিবিসি রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। খবর বিবিসি ও দ্য টেলিগ্রাফের।

জন বেল বলেন, চলতি সপ্তাহেই করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ শুরু করেছেন অস্কফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তবে কবে বাজারে আসবে তা বলা যাচ্ছে না। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা পরীক্ষা সম্পন্ন করা।

ব্রিটিশ সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হলো– এটি কি মানুষকে রক্ষা করবে? কারণ ভ্যাকসিনটির পুরো কার্যক্রম তখনই বলা যাবে, যখন আপনি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষের দেহে এর প্রয়োগ করবেন।

তার পর তাদের সুস্থ হওয়ার লক্ষণ দেখতে হবে। তারও পরে তাদের আবারও এই ভাইরাসটির সংস্পর্শে নিতে হবে এবং তখন তাদের মধ্যে কতজন ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়েছেন সেটি হিসাব করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, যদি সব কিছু ঠিকমতো এগোয় আর এটির কার্যকারিতা প্রত্যাশিত মানের হয়, তা হলে আমি মনে করি- অক্সফোর্ডের গবেষকরা আগস্টের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই এর সব ধরনের পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন।

তিনি জানান, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো তাদের তৈরি করোনার এই সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ শুরু করেছেন। এর আগে ভ্যাকসিনটি মানবদেহে প্রয়োগের কার্যকারিতা ও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আগামী মে মাসের মাঝামাঝি কিংবা শেষ দিকে যদি দেখা যায় মানুষের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থায় ভ্যাকসিনটির শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে, তা হলে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়ে যাবে। পরবর্তী এবং সবচেয়ে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াবে কীভাবে শত শত কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদনের কাজটি শুরু করা হবে।

মন্তব্যসমূহ