শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

পৃথিবীর সমস্ত প্রচেষ্টা শেষ, সমাধান আকাশে : ইতালির প্রধানমন্ত্রী



উইলিয়াম শেক্সপিয়রের অমর সৃষ্টি রোমিও-জুলিয়েটের দেশ ইতালি এখন লাশের শহর। বাতাসে শুধু লাশের গন্ধ। উৎসবপ্রিয় ইতালিয়ানরা আজ নিজেদের অবরুদ্ধ রেখেছেন যার যার ঘরে। আর লাশের সারি এতোই দীর্ঘ যে লাশ সমাহিত করার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। এভাবেই প্রতিদিন শত শত লাশ বের করতে হচ্ছে ইতালির ডাক্তারদের। কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়েও এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ইতালি। ইতালির প্রধানমন্ত্রী কণ্টির কণ্ঠে তাই হতাশা ও ভেঙ্গে পড়ার সুর।
জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে তিনি বলেছেন, 'আমরা মহামারীর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি। আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে মারা গেছি। আর কী করতে হবে তা আমরা জানি না। পৃথিবীর সমস্ত সমাধান শেষ হয়ে গেছে। একমাত্র সমাধান আকাশের কাছে।'
তাঁর এ ভাষণ বিশ্বের মানুষের হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে। স্তব্দ হয়ে গেছে পুরো বিশ্ব। করোনাভাইরাসে মৃত্যুর নীরিখে চীনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ইতালি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৯৩ জন মারা গিয়েছেন। করোনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এত মত্যু, বিশ্বের আর কোনো দেশে হয়নি। করোনাভাইরাসে ইতালির মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে লোম্বারদিয়া অঞ্চল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সামরিক বাহিনীকে তলব করা হয়েছে। মূলত লকডাউন কার্যকর করার প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছে সামরিক বাহিনী।
প্রতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি আমরা যে ভালোবাসা দিবস পালন করি সেটাও এসেছে এই ইতালি থেকে। কিন্তু আজ আর ভালোবাসতে দেখা যাচ্ছে না ইতালিয়ানদের। সরকারের আদেশ মেনে সবাই নিজ ঘরকে কোয়ারেন্টাইন বানিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন। প্রতিনিয়ত শোক পালন করাও সম্ভব হচ্ছে না ইতালিয়ানদের। ফলে একসঙ্গে শোক ব্যানার টানিয়ে রেখেছে তারা।

আল জাজিরা

মন্তব্যসমূহ