হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

পৃথিবীর সমস্ত প্রচেষ্টা শেষ, সমাধান আকাশে : ইতালির প্রধানমন্ত্রী



উইলিয়াম শেক্সপিয়রের অমর সৃষ্টি রোমিও-জুলিয়েটের দেশ ইতালি এখন লাশের শহর। বাতাসে শুধু লাশের গন্ধ। উৎসবপ্রিয় ইতালিয়ানরা আজ নিজেদের অবরুদ্ধ রেখেছেন যার যার ঘরে। আর লাশের সারি এতোই দীর্ঘ যে লাশ সমাহিত করার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। এভাবেই প্রতিদিন শত শত লাশ বের করতে হচ্ছে ইতালির ডাক্তারদের। কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়েও এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ইতালি। ইতালির প্রধানমন্ত্রী কণ্টির কণ্ঠে তাই হতাশা ও ভেঙ্গে পড়ার সুর।
জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে তিনি বলেছেন, 'আমরা মহামারীর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি। আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে মারা গেছি। আর কী করতে হবে তা আমরা জানি না। পৃথিবীর সমস্ত সমাধান শেষ হয়ে গেছে। একমাত্র সমাধান আকাশের কাছে।'
তাঁর এ ভাষণ বিশ্বের মানুষের হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে। স্তব্দ হয়ে গেছে পুরো বিশ্ব। করোনাভাইরাসে মৃত্যুর নীরিখে চীনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ইতালি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৯৩ জন মারা গিয়েছেন। করোনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এত মত্যু, বিশ্বের আর কোনো দেশে হয়নি। করোনাভাইরাসে ইতালির মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে লোম্বারদিয়া অঞ্চল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সামরিক বাহিনীকে তলব করা হয়েছে। মূলত লকডাউন কার্যকর করার প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছে সামরিক বাহিনী।
প্রতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি আমরা যে ভালোবাসা দিবস পালন করি সেটাও এসেছে এই ইতালি থেকে। কিন্তু আজ আর ভালোবাসতে দেখা যাচ্ছে না ইতালিয়ানদের। সরকারের আদেশ মেনে সবাই নিজ ঘরকে কোয়ারেন্টাইন বানিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন। প্রতিনিয়ত শোক পালন করাও সম্ভব হচ্ছে না ইতালিয়ানদের। ফলে একসঙ্গে শোক ব্যানার টানিয়ে রেখেছে তারা।

আল জাজিরা

মন্তব্যসমূহ