জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

এবার ইঁদুর থেকে ছড়াল মারাত্মক ভাইরাস, ৭০ জনের মৃত্যু



চীনে মহামারি আকার ধারন করা বাদুড় থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই ইঁদুর থেকে ছড়িয়ে পড়া লাসা ভাইরাস জ্বরে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (এনসিডিসি) বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল-জাজিরা।

এনসিডিসি জানিয়েছে, নাইজেরিয়ার তিনটি প্রদেশে লাসা জ্বর ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটির তিন প্রদেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অন্ডো, ডেলটা ও কাদুনা রাজ্যে চারজন স্বাস্থ্যকর্মী নতুন করে লাসা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝির তুলনায় নাইজেরিয়ায় লাসায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৪৭২ জনের লাসা জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

চিকিৎসকরা বলছেন, খাবার, মলমূত্র ও গৃহস্থালি জিনিসপত্রের মাধ্যমে মানুষের শরীরে লাসা জ্বর ছড়ায়। ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই জ্বর প্রাণঘাতী নয়। এতে আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি মাথাব্যথা, মুখে ঘা, মাংসপেশিতে ব্যথা ও ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ হয়। এছাড়া এই জ্বরে আক্রান্ত রোগীর অনেক সময় হার্ট ও কিডনি অচল হয়ে যায়।

লাসা জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে ৬ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত আলাদা স্থানে রাখতে হয়। কারণ এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলেই অন্যদের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, লাসা জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম দিকে চিকিৎসার জন্য এন্টিভাইরাল রিবাভিরিন ব্যবহার করা যেতে পারে।

আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় মাত্র ৫টি ল্যাবরেটরি স্থাপন করে এই রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষা চালানো হচ্ছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

১৯৬৯ সালে উত্তর নাইজেরিয়ার লাসা শহরে প্রথম শনাক্ত করা হয় বলে এ রোগের নাম দেয়া হয়েছে লাসা। ইবোলা ও মারবার্গ ভাইরাসের গোত্রভুক্ত লাসা জ্বর।

ওদিকে, করোনাভাইরাস মহামারী আকার নিয়েছে চীনে। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে প্রাণ গেছে ১৪৮৩ জনের। আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫ হাজার মানুষ। এর মধ্যে যেখান থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে কেবল সেই উহানেই আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫২ হাজার মানুষ। ভাইরাসটি ইতোমধ্যে বিশ্বের কমপক্ষে ২৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

মন্তব্যসমূহ