হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

কাশ্মির ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব জাতিসঙ্ঘের, নাকচ নয়াদিল্লির



কাশ্মির সমস্যা সমাধানে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারত পাকিস্তান রাজি থাকলে কাশ্মির সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। ইসলামাবাদে এই ঘোষণার এক ঘন্টার মধ্যেই ভারত জানিয়ে দেয়, ‘কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয়পক্ষের মধ্যস্থতার কোনো সুযোগ নেই।’

চার দিনের সফরে পাকিস্তানে গিয়েছেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সেখানেই তিনি বলেন, ‘দুই দেশ রাজি থাকলে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতায় আমি রাজি। শুরু থেকেই একথা বলেছি।’ নিয়ন্ত্রণ রেখায় উভয় দেশেরই সংযত হওয়া উচিত বলে জানান গুতারেস।

এই প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র রাবীশ কুমার বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মির নিয়ে ভারতের অবস্থানগত বদল ঘটেনি। জম্মু-কাশ্মির ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। বেআইনিভাবে পাকিস্তান যেসব অঞ্চলগুলো দখল করে রেখেছে, সেগুলোর দিকে বিশেষভাবে নজর দেয়া প্রয়োজন। কাশ্মির সমস্যা দ্বিপক্ষীয় বিষয়। তাই দু’দেশের মধ্যে এটি আলোচিত হবে। এক্ষেত্রে তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ বা প্রয়োজন নেই। তার সংযোজন, ‘পাকিস্তানের বেআইনি বহু পদক্ষেপে ভারতীয়দের জীবন, মানবাধিকার বিপন্ন। বরং সেদিকে দৃষ্টিপাত করুন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব’

জম্মু-কাশ্মির নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একাধিক বার তার সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে ভারতের মোদি সরকার।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কুরেশির সঙ্গে বৈঠকের পর অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘কাশ্মিরের বর্তমান পরিস্থিতি এবং নিয়ন্ত্রণরেখায় ঘটে চলা ক্রমবর্ধমান সহিংসতার ঘটনায় আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। শান্তি রক্ষায় কূটনীতি ও আলোচনাই একমাত্র পথ। জাতিসঙ্ঘ সনদ কার্যকর হওয়া প্রয়োজন ও যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হোক। এতেই মানবাধিকার রক্ষা পাবে।’
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

মন্তব্যসমূহ