হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

১৮ মাস আগের পোশাকেই বাড়ি ফিরেছেন নিখোঁজ সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা



নিখোঁজের দেড় বছর পর বাড়ি ফিরেছেন র‌্যাব-৭’র সাবেক অধিনায়ক হাসিনুর রহমান ডিউক। নিখোঁজ হওযার আগে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চাকুরিচ্যুত হয়ে ছিলেন। তার স্ত্রী শামীমা আখতার বলেন, শনিবার মধ্যরাতে বাসায় ফিরে আসেন তার স্বামী।

‘উনার চেহারা ছিল বিধ্বস্ত। নিচ থেকে দারোয়ান এসে খবর দেয়ার পর আমরা তাকে বাসায় নিয়ে আসি। যে পোশাক পরে উনি ১৮ মাস আগে বের হয়েছিলেন, গায়ে সেই পোশাকই ছিল।’

হাসিনুর এতদিন কোথায় কীভাবে ছিলেন, কীভাবে আবার বাড়ি ফিরে এলেন সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি শামীমা। ‘উনি বেশ অসুস্থ। এখন কিছু বলছেন না। আমরা আগামীকাল (রোববার) তাকে ডাক্তার দেখাব।’

২০১৮ সালের ৮ অগাস্ট রাত সোয়া ১০টার দিকে দুটি মাইক্রোবাসে আনুমানিক ১৪-১৫ জন লোক এসে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে হাসিনুরকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে আসছিল তার পরিবার। এ নিয়ে ওই বছর ডিসেম্বরে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়েছিল।

পল্লবী থানার এস আই মনিরুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকাল থেকে দুই দফা হাসিনুরের স্ত্রীর সাথে তার কথা হয়েছে। ‘তিনি আমাদের বলেছেন, রাত ১২টার দিকে হাসিনুর বাসায় আসেন। তবে তার সাথে কথা বলার বা দেখা করার অনুমতি পাওয়া যায়নি।’

লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে থাকাকালে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন হাসিনুর রহমান ডিউক। তার আগে ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক ছিলেন তিনি। সে সময় তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ উগ্রবাদী সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নিশ্চিত করেছিল র‌্যাব। পরে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চাকুরিচ্যুত হয়ে কয়েক বছরের সাজা খাটেন হাসিনুর।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের সময় হাসিনুরের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থার নজরে ছিল।

২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসিনুরের স্ত্রী শামীমা আখতার স্বামীর খোঁজে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি সেদিন দাবি করেন, তার স্বামী ‘কোনো কিছুর সাথে’ জড়িত নন, তাকে ‘ভুল বোঝা হচ্ছে’।

‘২৮ বছর নিষ্ঠার সাথে আমার স্বামী সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। দেশের প্রতি অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশ রাইফেলস পদক, বীর প্রতীক ও বিপিএম খেতাব পেয়েছেন। কারাভোগের পর তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।’

মন্তব্যসমূহ