হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

স্বীকৃতিকে প্রাথমিক বিজয় বলছে রোহিঙ্গারা



রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ এবং তাদের সুরক্ষায় মিয়ানমারকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়ার আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। এ বিষয়ে ৪ মাসের মধ্যে দেশটিকে অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে। আর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যা অভিযোগ প্রমাণিত এবং রোহিঙ্গা বলে স্বীকৃতি দেয়ার আদেশকে প্রাথমিক বিজয় বলে মনে করছেন তারা।

কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প। যেখানে বসবাস করছেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা। আর এসব রোহিঙ্গার কাছে আজকের দিনটি ছিল অন্যরকম। কারণ গাম্বিয়ার করা মামলায় আন্তর্জাতিক আদালত অন্তর্বর্তী আদেশ দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল ঠিক ৩টা। রোহিঙ্গারা দোকানপাট বন্ধ করে ছুটছেন চায়ের দোকানে। কারণ টিভিতে সরাসরি দেখা যাবে বিচার কার্য। নেদারল্যান্ডসের হেগে রায় পড়া শুরু হলে রোহিঙ্গারা নীরবে শুনেন সেই রায়। রায় শেষ হওয়ার পরপর রোহিঙ্গারা শুকরিয়া জ্ঞাপন করে বাংলাদেশ, গাম্বিয়া ও বিশ্ববাসীর কাছে। বলেন, এটা তাদের প্রথম বিজয়।

রোহিঙ্গারা বলেন, তাদের উপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনকে আইসিজেতে গণহত্যা আখ্যা দেয়ায় আমরা খুশি। আশা করি আমরা দেশে ফিরতে পারব।

আন্তর্জাতিক আদালতে আদেশের আনন্দ কিংবা হৈ-হুল্লোড় করেনি রোহিঙ্গারা। এখন রোহিঙ্গাদের দাবি, মিয়ানমারকে বিশ্ববাসী আরও বেশি চাপ প্রয়োগ করবে এবং পূর্ণ নাগরিক মর্যাদা দিয়ে তাদের ফেরত নেবে মিয়ানমার।

আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বলেন, তিন বছর ধরে আমরা যার জন্য পথচেয়ে আছি সেই রায় আজ আমরা পেয়েছি। বাংলাদেশের মিডিয়া এবং বিশ্বের সব মিডিয়াকে ধন্যবাদ।


আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ জোবাইর বলেন, আমরা যদি আরো সুবিধা চাই তাহলে আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারকে আরও বেশি চাপ প্রয়োগ করতে হবে।

গেল ডিসেম্বরের ১০ থেকে ১২ তারিখ-তিনদিন এ আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উভয় পক্ষে আন্তর্জাতিক আইনের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

মন্তব্যসমূহ