হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ট্রাম্পকে হত্যার জন্য ফের পুরস্কার ঘোষণা



ট্রাম্পকে হত্যা করার জন্য আবারো পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। যদি কোনো ব্যক্তি ট্রাম্পকে হত্যা করতে পারেন তাহলে তাকে তিন মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইরানের এক আইনপ্রণেতা। মঙ্গলবার ইরানিয়ান স্টুডেন্ট’স নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায় রয়টার্স।

ইরানের কারমান প্রদেশের সাংসদ আহমদ হামজেহ বলেন, যে ট্রাম্পকে হত্যা করবে তাকে আমরা নগদ তিন মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেব কারমান প্রদেশের জনগণের পক্ষে থেকে। তবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে ইরান সরকারের সমর্থন রয়েছে কি-না তা নিয়ে কিছুই বলেননি তিনি।

ইরানের রাজধানী তেহেরানের দক্ষিণে কারমান প্রদেশটির অবস্থান। ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানির জন্মস্থান এই প্রদেশে। প্রদেশটির সাংসদ আহমদ হামজেহ বলেন, আজ যদি আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র থাকতো তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির হাত থেকে রক্ষা পেতাম। আমাদের উচিত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন চালিয়ে যাওয়া। যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যুদ্ধক্ষেত্র ওয়ারহেড বহন করতে পারবে। এটি আমাদের স্বাভাবিক অধিকার।

এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরস্ত্রীকরণবিষয়ক দূত রবার্ট উড এই ধরনের পুরস্কার ঘোষণাকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে এর আগেও ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাথার বিনিময়ে ৮০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।

সম্প্রতি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের এক হামলায় ইরানের কুদস বাহিনীর ক্ষমতাধর জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশেই সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের পর ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ